প্রচণ্ড গরমে দিনাজপুরের হিলিতে কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহ চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর-সংশ্লিষ্টরা ও ক্রেতারা বলছেন, বিদ্যুৎও ঘনঘন যাওয়া আসা করছে। সাধারণ ফ্যান ও এসি থেকেও কাজ হচ্ছে না। তাই নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত ঝুঁকছে চার্জার ফ্যানের দিকে। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ ফ্যানের চেয়ে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি। তবে, এসির চাহিদাও আগের চেয়ে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ফ্যান, চার্জার ফ্যান, এসি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি বাজারে কথা হয় চার্জার ফ্যান কিনতে আসা মো. আক্কাস আলী সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে। আর এই সময় বিদ্যুৎ যেভাবে যাওয়া আসা করছে, তাতে গরমে বাচ্চা অস্থির হয়ে ওঠে। তাই বাড়ির জন্য ছোট চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি।’
আক্কাস আলী বলেন, ‘আরও কয়েকদিন আগে ফ্যান কেনা ভালো ছিল। দাম একটু কম পাওয়া যেতো। ৩ হাজার টাকা দামের ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যান এখন কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৩৫০ টাকায়। কী আর করা? ৫০ টাকা কম দিয়ে ৩ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে একটি কিনলাম।’
আরেক ক্রেতা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘বাড়িতে জনসংখ্যা বেশি। ঘরের সংখ্যাও বেড়েছে। তাই প্রয়োজন সেলিং ফ্যান। বাড়িতে বলেছে ফ্যান কিনতে। তাই ৪ হাজার হাজার টাকা দিয়ে একটি ৪৮ ইঞ্চি ফ্যান কিনে বাড়ি ফিরছি। এছাড়া কম দামের ফ্যানও আছে। তবে সেগুলোর কোনো গ্যারান্টি দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। তাই এই ফ্যানই কিনলাম।’
ইউসুফ ইলেকট্রিক স্টোরের মালিক মো. ইশতিয়াক হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে বিভিন্ন কোম্পাবির চার্জার ফ্যান ও সিলিং ফ্যান আছে। ক্রেতারা সামর্থ্য অনুযায়ী ফ্যান কিনছেন। আমি কোনো কোম্পানির ছোট চার্জার ফ্যান ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, কোনো কোম্পানির ফ্যান ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। আবার কোনো কোম্পানির সিলিং ফ্যান ২ হাজার ৯০০ টাকা, কোনোটা ৩ হাজার টাকা ও আবার কোনো ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি।’
এদিকে একটি ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানির হিলি শাখার ম্যানেজার মো. শাহিন হোসেন বলেন, ‘গরমের কারণে বর্তমানে আগে চেয়ে এসি বিক্রি একটু বেড়েছে। আগে দিনে দুই-একটি এসি বিক্রি হতো। এখন গরমের কারণে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি এসি বিক্রি হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই