২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



হিলিতে বাড়ছে আলুর দাম, নেপথ্য কারণ কী

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১২ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
হিলিতে বাড়ছে আলুর দাম, নেপথ্য কারণ কী


ঈদের পরদিন দিনাজপুরের হিলিতে প্রতিকেজি গোল আলুর দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ৩০ টাকা কেজি দরের কাঠিলাল (লম্বা) আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ৪০ টাকা কেজি দরের গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া দেশি  আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

হিলিবাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, আলুর দাম বাড়ার কোনো কারণ তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ,  আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে থেকে বাজারে আলুর সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। কৃষকের ঘরে আলুর মজুদও ফুরিয়ে আসছে। তাই সরবরাহ কমেছে বাজারে।  

বাজারে আলু কিনতে এসেছেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ঈদ করতে আসা মো. এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি তো ঢাকায়ও এই দামে আলু কিনেছি। ভেবেছিলাম হিলিতে হয়তো আলুর দাম কিছুটা কম হবে। কিন্তু না। দাম প্রায় একই রকম। ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো আলু বাজারে নেই। কয়েকদিন ছুটিতে বাড়িতে থাকবো। তাই একবারে ৫ কেজি  আলু কিনলাম। তবে বিক্রেতা আমার কাছে ৫ কেজি আলুতে ১০ টাকা কম নিয়েছেন।’

শ্রমজীব মো. আজমত আলী বলেন, ‘আমাদের পক্ষে তো আর গরুর গোশত কেনা সম্ভব হয় না।তাই মাঝেমধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনে গোশতের চাহিদা মেটাই। এবার ঈদের দিন ব্রয়লার কিনতে গিয়ে দেখি এক সপ্তাহ আগে যে ব্রয়লার ছিল ১৮০ টাকা কেজি, গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সেই ব্রয়লার ২৩০ টাকা কেজি। ভেবেছিলাম দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার কিনবো। কিন্তু দাম বেশির কারণে তা আর হলো না। শেষে দেড় কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার নিয়ে বাড়ি ফিরি।’ 

আজমত আলী আরও বলেন, ‘কালকে কিছু রান্না করে খেয়েছি। আর আজ আলু দিয়ে রান্না করে খাবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বাজারে এসে দেখি আলুর দামও কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।’

পাইকরি আলু বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই কেন যেন বাজারে আলু সসরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে। যে কাঠিলাল আলু ২৫ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা বিক্রেতরাদের কাছে ২৮ টাকায় বিক্রি করেছিলাম, সেই আলু এখন কিনতেই পড়ছে ৩০ টাকা। আর বিক্রি করছি ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়। গোল আলুর দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতাম ৩৮ টাকা। এখন কিনতেই পড়ছে ৪৫ টাকা। আর খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়।’ 

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতারা হয়তো কেজিতে ২০ থেকে ৩০  টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছে। এই কারণেই আলুর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই 



আরো পড়ুন