২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার



বাড়ছে পাইপখড়ির চাহিদা, দামেও সাশ্রয়ী

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৬:৩২ এএম
বাড়ছে পাইপখড়ির চাহিদা, দামেও সাশ্রয়ী


দিনাজপুরের হিলিতে চায়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে পাইপখড়ির চাহিদা।  হিলির প্রায় চায়ের দোকানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে  ধানের গুঁড়ো দিয়ে মেশিনের দিয়ে তৈরি এই পাইপ খড়ি। চা-বিক্রেতারা বলছেন, কাঠের খড়ির চেয়ে পাইপখড়ির ব্যবহারে ব্যয় সাশ্রয় হয়। তাই তারা পাইপখড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন। আর পাইপখড়ি তৈরির মিল মালিক বলছেন,পাইপখড়ি একটি স্লো আইটেম।  চায়ের দোকানদাররাই এর ক্রেতা। এর বাইরে কেউ কেউ কোনো অনুষ্ঠানে জ্বালানি হিসেবে হঠাৎ পাইপখড়ি কিনে নিয়ে যান। পাইকারি হিসেবেও কিছু বাইরে যায়।    

হিলি খাদ্যগুদাম মোড়ের চা বিক্রেতা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে কাঠের খড়ি ব্যবহার করতাম। প্রতিদিন ২ মণ খড়ি লাগে। এখন দাম বেশি। ৩০০ টাকা মণ। দিনে ৬০০ টাকার শুধু খড়িই লাগে। অনেক সময় কাঁচা থাকার কারণে চুলা জ্বলতে চায় না। ধোঁয়া হয়। এতে ক্রেতারা বিব্রতরোধ করেন। চায়ের চুলা সবসময় জ্বালিয়ে রাখতে হয়।  কিছুদিন আগে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারও ব্যবহার করি। কিন্তু ৩ সিলিন্ডার গ্যাস ২ দিন যায়। এতে খরচ বেশি পড়ে। তাই এখন ধানের গুঁড়ো দিয়ে মেশিনে তৈরি পাইপ খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি।’ 

খাদেমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কাঠের খড়ির চেয়ে পাইপখড়ির দাম দ্বিগুণ। ৬০০ টাকা মণ। তবে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি পাইপখড়ি দিয়ে সারাদিন চলা যায়। কাঠের খড়ির মতোই দাম পড়ে। পাইপখড়ির সুবিধা হলো, টুকরো টুকরো করে কেটে প্রথমে শুধু একটু কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেই জ্বলে ওঠে। একবার জ্বলে উঠলে আর নেভে না। ধোঁয়াও হয় না। এ কারণে পাইপখড়ি ব্যবহার করি।’ 

পাইপখড়ি তৈরির মিল মালিক মো. হাবিবুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে ধানের গুঁড়ো কিনে নিয়ে এসে মেশিন দিয়ে পাইপখড়ি তৈরি করি। আসলে পাইপখড়ির বিক্রি খুব স্লো। যা বিক্রি হয়, স্থানীয় চায়ের দোকানদাররাই কেনেন। তবে আগের চেয়ে চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। আবার কিছু পাইকারি হিসেবে হিলির বাইরে যায়। নাহলে মিল চালানোয় সম্ভব হতো না।’

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগেও প্রতিমণ পাইপ খড়ি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে ধানের গুঁড়োর দাম বেশি, শ্রমিক খরচ বেশি। তাই এখন খুচরা ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি। তবে কেউ বেশি নিলে ৫৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করি।’ 



আরো পড়ুন