ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার কারণে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলির জনজবীবন। গেলো দু’দিন ধরে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ও সোমবার (১ জানুয়ারি) সূর্যের দেখা মিলছে দুপরের পরে। আবার বিকেলের পর তাপমাত্র কমে যাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূলসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। অহসায় জীবনযাপন করছেন বয়স্ক ও শিশুরা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, শীতার্তদের মাঝে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘প্রচণ্ড শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। কর্মজীবী মানুষেরা জীবিকার সন্ধানে বের হলেও কাজ না পেয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।’
হিলি বাজারের দোকানি আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ার কারণে দোকানপাট খুলতে হয় দেরিতে। তবুও ক্রেতার দেখা মিলছে না। বিক্রিও কমে গেছে অনেকটা।’
আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘কাঁচাবাজারে কিছুটা ক্রেতার সমাগম হলেও অন্যান্য দোকানে প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা আসছেন না।’
ভ্যানচালক মো. ছোটন হোসেন বলেন, ‘আমরা ভ্যান, অটোচালকেরা গাড়ি নিয়ে বের হলেও মিলছে না যাত্রী। আয় কমে গেছে। এরফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।’
ট্রাকচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘দু’দিন ধরে দুপুর ১২ পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে। জোরে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। বাস, ট্রাকগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গাড়ি চালাতে হচ্ছে ধীর গতিতে। যার কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় শীতের তীব্রতার কথা স্বীকার করে ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘দু’দিন ধরে হিলিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। অসহায় শীতার্তদের মাঝে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮০ জন শীতার্তকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই