২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



৪ ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মাঝে চেক প্রদান শুরু

স্টাফ রিপোর্টার || ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৫:৪২ এএম
৪ ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মাঝে চেক প্রদান শুরু


চার ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে আনুপাতিক হারে অর্থ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর মিডিয়া সেন্টারে দুজন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর হাতে দুইটি চেক হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী চারটি ব্রোকারেজ হাউজের ৮ হাজার ৫৮১ জন ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীকে আনুপাতিক হারে BEFTIN এর মাধ্যমে ২৫ টাকা কোটি পরিশোধ করা হবে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো হচ্ছে ক্রেষ্ট সিকিউরিটিজ লি. বাঙ্কো সিকিউরিটিজ লিমিটেড, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কো. লিমিটেড। এসব ব্রোকারেজ হাউজের যেসব ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে ডিএসইতে অভিযোগ দাখিল করেছেন শুধুমাত্র সেইসব বিনিয়োগকারীদেরকে তাদের নিজ নিজ বিও হিসাবে আনুপাতিক হারে প্রাপ্য অর্থ প্রদান করা হবে।

ডিএসই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাদের হাতে কিছু টাকার চেক তুলে দিতে পেরেছি। আমরা আশা করছি পর্যায়ক্রমে সকল বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধ করতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে বাজারে একটা ইতিবাচক বার্তা যাবে। আমরা সকল পাওনা পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিনিয়োগকারীরা যেন এধরণের ঘটনায় ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি। এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, কমিশনের কমিশনার মো. আব্দুল হালিম যিনি এই ফান্ড (ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড) থেকে বিনিয়োগকারীরা যেন টাকা পান, সেই বিষয়ে তৎপর ছিলেন। আজ তার উপস্থিতিতেই বিনিয়োগকারীদের টাকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলো।’

বিএসইসি কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘অল্প কিছু হলেও ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের দিতে পেরেছি, এটা আনন্দের। তবে আইন-কানুন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হতে হবে। যেন কেউ কোনো বিনিয়োগকারীর টাকা আত্মসাৎ করতে না পারে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়বে। এই চারটি প্রতিষ্ঠানে টাকা আত্মসাতের পর নতুন করে কেউ আর আত্মসাৎ করতে পারেনি। এটা বন্ধ করতে নতুন আইন করতে হয়নি। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে, মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ অর্থ আত্মসাত্ম করতে না পারে।’

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন