গণ–আন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে তাকে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করতে হয়, তা প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘গণ–আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আহ্বান আসার পর প্রধান বিচারপতির কী করা উচিত, সেটা তাঁর ওপর ছেড়ে দিলাম।’ শনিবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এত বড় গণ–আন্দোলন হলো, যার মাধ্যমে ১৬–১৭ বছর ধরে জেঁকে বসা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।’
এর আগে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলা পৌনে ১২টার দিকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে সকালে স্ট্যাটাস দেন। তিনি বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন।
ওই স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ জানান, ‘ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করে ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।’
স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ আরও লেখেন, ‘আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।’