ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের পরই সেমিফাইনালের আশাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। তবে বাবর আজমের দলের সামনে সুযোগ ছিল জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার। কিন্তু কলকাতায় ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে হয়নি সেটিও। ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৪৪ রানেই গুটিয়ে গেলো পাকিস্তান। ফলে ৯৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক।এর পর আশার প্রতীক ছিলেন ফখর জামান। হতাশ করেছেন তিনিও। ৯ বলে ১ রান করে উইলির দ্বিতীয় শিকার হন ফখর। এরপর জুটি গড়েন পাকিস্তানের দুই বড় ভরসা বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু এই জুটিও আলো দেখাতে ব্যর্থ। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রান তোলার পরই দলীয় ৬১ রানে ফিরে যান বাবর। গাস অ্যাটকিনসনের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
দলের রান যখন ১০০ তখনই মঈন আলীর বলে বোল্ড হন রিজওয়ান। এরপর সৌদ শাকিলের ২৯ রান পাকিস্তানকে দিয়েছে সাময়িক স্বস্তি। ইফতিখার আহমেদ ফিরেছেন ৩ রানে। শাদাব খানও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মঈন আলী আর রশিদ খানের ঘূর্ণিতে তখন দিশেহারা পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ক্রিজে ছিলেন সালমান আগা। তার ৫০ পেরুনো ইনিংস নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের ৫ম স্থান। উইলির তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান সালমান।
শেষে অবশ্য পাকিস্তানের দুই বোলার হারিস রউফ আর ওয়াসিম জুনিয়র শুরু করেন নতুন এক ঝড়। ৩৩ বলেই ৫৩ রানের জুটি গড়েন দুই বোলার। ক্রিস ওকসের বলে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে হারিস রউফ বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৩৫ রানে। পাকিস্তান ম্যাচ হারে ৯৩ রানের ব্যবধানে।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/