০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার



পুঁজিবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা নিতে চায় বোরাক

স্টাফ রিপোর্টার || ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ০৬:৪০ এএম
পুঁজিবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা নিতে চায় বোরাক


ইউনিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। যে টাকা দিয়ে একটি সাততারা ও দুটি পাঁচতারা মানের হোটেল নির্মাণ করা হবে।  বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত রোড শোতে এই তথ্য জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মাদ নূর আলী।

এমডি বলেন, ‘এত দিন এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় ছিল শুধুই আমার পরিবারের সদস্যরা। এখন এর পরিসর বৃদ্ধি করতে চাই। বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করতে চাই। এককভাবে না থেকে যদি একটা দায়বদ্ধতা বা কমপ্লায়েন্সের মধ্য দিয়ে যাই তাহলে এই প্রতিষ্ঠান টেকসই হবে। আমি যখন থাকব না তখনো এই প্রতিষ্ঠান চলবে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমরা বোরাক রিয়েল এস্টেটকে পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছি।’

নূর আলী  আরও বলেন, ‘হোটেল তাজ ও হোটেল ভিভান্তা হতে যাচ্ছে, যার একটি ছয়তারা এবং আরেকটি সাততারা মানের হবে। এটা হবে বাংলাদেশের মাইলফলক প্রকল্প, যা দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে গর্ব করতে পারবে। হাতিরঝিলের পাশে হবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, যা হবে আন্তর্জাতিক মানের। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার করার জন্য বাংলাদেশে একমাত্র আমরাই অনুমতি পেয়েছি।’

বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে যে ৪০০ কোটি টাকা আমরা তুলতে চাচ্ছি সেটা আমাদের দরকার নাই। ব্যালান্সশিট দেখলে বুঝবেন। কিন্তু আমরা চাচ্ছি, দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যাওয়া, আরো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া। সবাইকে নিয়েই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা। এ জন্যই জনগণের মধ্যে আসা। আর গুড গভর্ন্যান্স, কমপ্লায়েন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। যে কারণে আমরা পুঁজিবাজার থেকে এই টাকাটা তুলতে চাই।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ও আংশিক ঋণ পরিশোধের জন্য একটি সাততারা ও দুটি পাঁচতারা মানের হোটেল নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ২০০ কোটি ও ১০০ কোটি টাকা এবং ঋণ পরিশোধের জন্য ১০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করবে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। এতে আইপিওর ব্যবস্থাপনা করবে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু হিসেবে থাকবে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড। এ ছাড়া কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং স্থায়ী সম্পদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

ঢাকা বিজনেস/তারেক/এনই/



আরো পড়ুন