বাংলাদেশ এখন ইকোনমিক ডিপ্লোমেসিনীতি মেনে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। এর জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে নিতে হবে। আমরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে কাজ শুরু করেছি।’ রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (বিসিএস কর্মকর্তা) প্রশিক্ষণকে দেশের মানুষের জন্য ব্যবহার করতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের অবশ্যই দেশপ্রেমিক হতে হবে। কারণ আমরা যে টাকায় চলি, সেটা কৃষকদের পরিশ্রমের কারণেই আসে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা আমাদের জন্য পরিশ্রম করেন। সুতরাং তাদের সেই পরিশ্রমকে মাথায় রাখতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি যে লাভবান হয়েছিলেন তিনি মিলিটারি ডিকটেটর জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টও রিনিউ করতে দেননি। এমনকি লন্ডনে যখন জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবিতে ১৯৮০ সালে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল; সেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা এদেশে আসতে চেয়েছিলেন; তাদের আসতে দেয়া হয়নি। জিয়াউর রহমান তাদের ভিসা দেননি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন কিন্তু তাকে হত্যার পর ওইসব মানবতাবিরোধী অপরাধীকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া। তাদের ভোটের রাজনীতি করার সুযোগও করে দিয়েছিলেন তিনি।’
ঢাকা বিজনেস/এনই