১৭ জুন ২০২৪, সোমবার



হিলিতে জমে উঠেছে পানপাতার হাট

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০৭ মার্চ, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
হিলিতে জমে উঠেছে পানপাতার হাট


দিনাজপুরের হিলিতে জমে উঠেছে পানপাতার হাট। প্রতি বৃহস্পতি ও রোববার হিলিতে এই পানপাতার হাট বসে। প্রতি হাটবারে উপজেলার পান-চাষিরা পানপাতা বিক্রি করতে হাটে নিয়ে আসেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারাও আসেন পানপাতা কিনতে।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) হিলি পানপাতা হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

হিলি হাটে পানপাতা বিক্রি করতে এসেছেন উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের আব্দুল মাবুদ। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদার সময় আমাদের থেকেই পানপাতার বরজ আছে। আগে ৩ বিঘার ৩টি বরজ ছিল। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ১ বিঘা জমির একটি বরজের ভাগ পেয়েছি। এখনো ওই বরজেই পানপাতার চাষ করি। প্রতিহাটে এক পোয়া (৪০ বিরা) পান তুলে বিক্রি করি। এতেই আমার সংসারের খরচ চলে যায়। এছাড়া আরও কিছু ধানী জমি আছে। সেগুলোতে ধান চাষ করি।’

আব্দুল মাবুদ আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে পানপাতা দাম একটু বেশি পেয়েছি। ৫ হাজার টাকা পোয়া (৪০ বিরা) বিক্রি করেছি। এখন একটু দাম কমেছে। আজ বৃহস্পতিবার ৩ হাজার টাকা দরে পোয়া বিক্রি করলাম। ছোট বরজ। নিজেই বরজে শ্রম দেই। তাই আমাকে শ্রমিকের খরচ দিতে হয় না।’

জয়পুরহাট থেকে হিলি হাটের পানপাতা কিনতে এসেছেন মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন হাট থেকে পানপাতা কিনে জয়পুরহাট সদরের দোকানে দোকানে খুচরা বিক্রি করি। তাই প্রতিহাটে হিলি আসি পানপাতা কিনতে। গত হাাটে প্রতি পোয়া পানপাতা ৪ হাজার টাকা দাম ছিল। আজ একটু দাম কম। আকারভেদে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে কিনেছি। এলাকায় খুচরা বিক্রি করে হয়তো প্রতি পোয়াতে ৫০০ টাকা লাভ থাকবে। এরমধ্যে খরচও আছে।’ 

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এখানকার জমি পানপাতা চাষের উপযোগী। হাকিমপুর উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে পানপাতার চাষ হয়েছে। মোট বরজ আছে ৩৫৫ টি। উপজেলা কৃষি বিভাগ সবসময় পানচাষিদের পানপাতা রোগ বালাইমুক্ত রাখতে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে পানচাষিরাও আমাদের কাছে আসেন। প্রয়োজনে আমি নিজেই গিয়ে রোগ নির্ণয় করে কী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে, সেই পরাপর্শ দিয়ে থাকি।’ 

/ঢাকা বিজনেস/



আরো পড়ুন