২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



জলবায়ু তহবিলের অর্থ পেতে যে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
জলবায়ু তহবিলের অর্থ পেতে যে  নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রীর


ব-দ্বীপ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্প প্রণয়ন করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এমনভাবে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে, যেন বাংলাদেশ জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন পায়।’ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, ‘সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জলবায়ু তহবিলের ১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পাওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুন্দরবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সড়ক পুনর্বাসন সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে। হাওর ও নিচু এলাকা যেখানে পানির চাপ বেশি, সেখানে পানির প্রবাহ নিরবিচ্ছন্ন রাখতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের ঐসব এলাকায় আরও সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশ দেন। 

প্রধানমন্ত্রী  সরকারি তহবিলের অপচয় রোধে, সেতু কিংবা এ জাতীয় অবকাঠামোর নকশা ও উচ্চতা সম্পর্কে কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন, যাতে নির্মাণের পর কোনো স্থাপনা ভাঙার প্রয়োজন না হয়। রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আইন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশের অর্থায়নের সর্বোচ্চ সীমা ১ বিলিয়ন ডলার।’

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে বাঁচাতে ব-দ্বীপ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে।’

গত আগস্ট মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে তবে সরকারও এ বিষয়ে খুব সচেতন রয়েছে। আমরা অতীতের মতো এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করব। আশা করছি, খুব শীঘ্রই আমরা ঘুঁরে দাঁড়াতে পারব। মুরগী ও ডিমের উচ্চ মূল্যের কারণে মূলত গত মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ও সেটা অন্যান্য খাদ্যপণ্যকে প্রভাবিত করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায়নি। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় ও আবার ধীরে ধীরে হ্রাসও পায়।’ 

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন