২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার



যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত ৫ উপজেলা

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা || ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম
যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত ৫ উপজেলা


উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর ৫টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমির ফসল, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাঁত কারখানা। ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হচ্ছে নদীতীরের ফসলি জমি ও বসতভিটা। এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো খোলা রয়েছে সেগুলোতেও নৌকা বা ভেলায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

 এ ছাড়াও, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মন গ্রাম, আড়কান্দি, পাঁচিল, চৌহালীর ভুতের মোড়সহ কয়েকটি পয়েন্টে নদীতীরে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‌‘পানি বাড়ার ফলে রোপাআমন ও আউশের ক্ষেত, বীজতলা, সবজি, কলার বাগান ও আখসহ বিভিন্ন আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সদর ও কাজিপুর উপজেলায় ২০৩ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার তালিকা প্রণয়ন না হওয়ায় এসব উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি।’ 

চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী বলেন, ‘উপজেলার ২ হাজার ১৯০টি পরিবারের অন্তত সাড়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, ‘প্রায় ১০ দিন যাবত যমুনার পানি বাড়ছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন