১৮ মে ২০২৪, শনিবার



প্রচণ্ড শীতে পর্যটক কম বান্দরবানে

বাসু দাশ, বান্দরবান || ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
প্রচণ্ড শীতে পর্যটক কম বান্দরবানে


প্রতিবছর শীত মৌসুমে বান্দরবানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও এবার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম পর্যটক। গত ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বরের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিতে জেলায় পর্যটকদের ভিড় থাকলেও এরপর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় পর্যটক আসছে না পাহাড়ে। ফলে বান্দরবানের অধিকাংশ হোটেল এখন খালি।  

জানা যায়, পাহাড় ঘেরা বান্দরবানে শীতের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও এবার শীতের মাত্রা বেশি হওয়ায় ভ্রমণের তালিকায় বান্দরবানকে রাখছেন না পর্যটকরা। ফলে জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্ত, থানচির নাফাকুম, রেমাক্রি, তমাতুঙ্গীসহ সব দর্শনীয় স্থানে এখন পর্যটক নেই বললেই চলে। 

ঢাকা থেকে বান্দরবানের নীলাচলে বেড়াতে আসা পর্যটক আফজাল হোসেন বলেন, ‘শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণপ্রেমীদের প্রতিবছর ভিড় থাকলেও এবার বান্দরবানে পর্যটক তুলনামূলকভাবে অনেক কম।’ 

পাহাড়ে এখন ঘন কুয়াশা। ঢেকে থাকে পাহাড়ের সড়ক। ফলে পর্যটকবাহী চাঁন্দের গাড়ি পর্যটনস্পটে যেতেই পড়ে বিভিন্ন সমস্যায়। সূর্যের দেখা মিলছে দুপুর ১২টার দিকে কিন্তু তারপরও ঠাণ্ডার প্রভাব থাকার কারণে বেড়াতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয়রাও সাধারণত ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জেলায় পর্যটকদের বাড়তি চাপ না থাকলেও মৌসুমে বিনোদন প্রেমীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত সুপার নকিবুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমে জেলায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই সজাগ আছি।’

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় পর্যটকদের সেবায় রয়েছে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। এ ছাড়াও পর্যটক পরিবহণে রয়েছে ৫ শতাধিক চাঁন্দের গাড়ি, থানচি ও রুমায় ২ শতাধিক নৌযান, সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জেলার ২৫ হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু পর্যটক কম আসার কারণে অনেকে বেকার সময় পার করছেন।

বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক রাজীব বড়ূয়া বলেন, ‘পাহাড়ে এখন প্রচণ্ড শীত, ফলে বান্দরবানে অন্য বছরের মতো পর্যটকের আগমন নেই।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের ৫টি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে ৩টি উপজেলায় প্রত্যাহার করা হয়। রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন