২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



জেগে উঠেছে তিস্তার চর, চলছে চাষাবাদ

ফারুক আলম, লালমনিরহাট || ১৮ জুলাই, ২০২৩, ০৬:৩৭ এএম
জেগে উঠেছে তিস্তার চর, চলছে চাষাবাদ


লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারী জেলার তিস্তা নদীর চরগুলো বন্যার একদিন পরেই জেগে উঠেছে। পানি কমে মরা খালে পরিণত হয়েছে নদী। কোথাও কোথাও দুই-তিনটি চ্যানেলে ভাগ হয়ে কিছুটা পানি প্রবাহ রয়েছে। তবে, আবারও উজানের ঢলে হতে পারে বন্যা। এরই মধ্যে চলছে চাষাবাদ। কৃষকরা বলেন, পরে আর পানি পাওয়া যাবে না, তাই আগেভাগেই চাষ করি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার চর ফলিমারি, বোয়ালমারি, গোবর্ধন, চর খুটামারা, খাটটামারি, চর ওসমানীনগর, চর খুনিয়াগাছ, শৌলমারী, চর ইচলিসহ বেশ কয়েকটি সম্পূর্ণ ভেসে উঠেছে। কিছু চরে ইতোমধ্যে কৃষকরা ধানের চারা রোপণ করছেন।

এসব অঞ্চলের বাসিন্দা ও কৃষকরা জানান, পানি বেড়ে একদিনেই ভেসে গিয়েছিল চর। ডুবন্ত ছিল চরের সবকিছু। টইটুম্বুর ছিল তিস্তা। ১৫ জুলাই রাত থেকে দ্রুত পানি কমে গিয়ে এসব চর ভেসে উঠেছে। এখন সেখানে রোপা আমন রোপণ চলছে। ফের বন্যা না হলে এসব রোপা আমন টিকে যাবে। অন্যান্য ফসলও আবাদ হবে।

স্থানীয় কৃষক জালাল বলেন, ‘পানি হঠাৎ কমে গেলো, তাই বসে না থেকে আমন চারা রোপণ করছি। পরে আবার পানি পাবো না। তবে, শঙ্কাও রয়েছে। পানি আবার বাড়লে তখন সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে পানি কমতে থাকে। এই পানি কমতে কমতে বিকালে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকাল ৩টায় ৩সেন্টিমিটার, সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ১৬ জুলাই সকাল ৬টায় ৩৫, দুপুর ১২টায় ৪০, বিকাল ৩টায় ৪৫, সন্ধ্যা ৬টায় ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এবং ১৭ জুলাই সকাল ৬টায় ৩৭, ১২টায় ৪০, বিকাল ৩টায় ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, ‘তিস্তার পানি বাড়ার মূল কারণ, তিস্তার উজানে ভারতের বৃষ্টিপাত। তিস্তায় আগামী ৭২ ঘণ্টায় পানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ৭২ ঘণ্টা পরে নতুন পূর্ভাবাস দেওয়া যাবে।’

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন