২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ দিনে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা টোল

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ০২ জুলাই, ২০২৩, ০৩:৩৭ এএম
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ দিনে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা টোল


ঈদের আগে ও পরে ৬ দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৫ জুন রাত ১২টা থেকে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের এসব যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা। 

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ জুন) ঈদযাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে একসঙ্গে যানবাহন ও টোল আদায়ে সবোচ্চ রেকর্ড করে সেতু কর্তৃপক্ষ। এদিন ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন পারাপার হয় এবং টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। যা বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যানবাহন পারাপার এবং টোল আদায়ের ক্ষেত্রে রেকর্ড। 

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্র্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৫ জুন (রোববার) ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৮৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়। আর এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৮৮১টি যানবাহন পার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ১৫০ টাকা। উত্তরবঙ্গগামী ১৪ হাজার ৯৭৬ টি যানবাহন পার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ২৬ লাখ ৪১ হাজার ১৫০ টাকা। 

২৬ জুন (সোমবার) ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর দিয়ে ৪২ হাজার ৫৬০টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা। 

ঈদ যাত্রার শেষ দিন ২৮ জুন (বুধবার) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ৪১৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা। এদিন উত্তরবঙ্গগামী ২৭ হাজার ৫৮৮টি যানবাহন পার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৪৭ হাজার ১০০ টাকা। ঢাকাগামী ১০ হাজার ৮৩০ টি যানবাহন পার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ টাকা। 

২৯ জুন ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ১৯১টি যানবাহন পার হয়েছে। আর টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা। 

ঈদের পরদিন ৩০ জুন (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৪০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকা। 

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‌‘ঈদযাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে দুই পাশে ২টি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছিল। প্রতিবছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। সার্বক্ষিণিক টোল প্লাজা সচল রাখার চেষ্টা করছি।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে সেতুটি চালু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করে আসছে। বর্তমানে সেতুর টোল আদায় করছে কমিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক (সিএনএস)।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন