২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিতেই অস্থির জিরার বাজার, কেজিতে বাড়লো ১১০ টাকা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২৭ জুন, ২০২৩, ১১:০৬ পিএম
হিলিতেই অস্থির জিরার বাজার, কেজিতে বাড়লো ১১০ টাকা


দিনাজপুরের হিলিতে অস্থির হয়ে উঠেছে। দুই দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরার দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। ২ দিন আগে রোববার (২৫ জুন) প্রতিকেজি জিরা ৮৪০ থেকে ৮৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মঙ্গলবার (২৭ জুন)  প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা দরে। কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে জিরার অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে ক্রেতাদের মাঝে। 

বিক্রেতারা বলছেন, আমদানিকারকদের কাছ থেকে যে দামে কিনেছেন, তার চেয়ে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছেন। আর আমদানিকারকদের দাবি, ভারতেই এবার জিরার দাম বেশি। তার ওপর সরকারি ডিউটি, পরিবহন খরচসহ অনান্য খরচও আছে। তাই এবার জিরার দাম বেশি পড়ছে। 

হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘মাসখানেক আগে এক পোয়া জিরা কিনিছিলাম ১৭৫ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ছিল। ইতোমধ্যে ওই জিরা শেষ হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম ঈদের আগে আমদানি বাড়বে। দামও হয়তো কমতে পারে। কিন্তু আজ (২৭ জুন) ৫০০ গ্রাম জিরা কিনতে এসে দেখি দাম আরও বেশি। একমাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা কেজি দরে। এটা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। তাই আজও ২৫০ গ্রামই কিনতে হলো। ঈদটা তো পার করতে হবে।’ 

আরেক ক্রেতা আব্দুল রহিম বলেন, ‘গেলো রোববার (২৫ জুন) বাড়ির জন্য ১০০ গ্রাম জিরা কিনি ১১০ টাকা দিয়ে।যা ইতোমধেই রান্নাবান্না করতে শেষ হয়ে গেছে। ভাবলাম কোরবানি দিচ্ছি। আজ একটু বেশি করেই কিনবো। কিন্তু বাজারে এসে দেখি বাজেট ফেল। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি জিরা ৯৫০ থেকে ৯৬০ দরে। দুই দিন আগে একটু বেশি করে কেনা ভালো ছিল। কেজিতে অনন্ত ১০০ টাকা সাশ্রয় হতো। দাম বেশির কারণে ৫০০ গ্রামে জায়গায় ২৫০ গ্রাম কিনে নিয়ে যাচ্ছি। কী আর করার?’ 

হিলি বাজারের খুচরা জিরা বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন বলেন, ‘আমরা খুচরা বিক্রেতারা ৯৩০ টাকা দরে আমদানিকারকদের কাছে কিনছি। আর ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার ১ কেজি জিরা কেনার ক্রেতা খুব কম। কেউ বা ৫০০ গ্রাম আবার কেউ বা ২৫০ গ্রাম করে কিনছেন। আর বিক্রিও কম। কারণ এর আগে কখনো এতদামে জিরা বিক্রি হয়নি। সব্বোর্চ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাক কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম।’

জিরা আমদানিকারক মো. শাহিনুর রেজা বলেন, ‘এবার ভারতেই জিরার দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তারপর আছে সরকারি ডিউটি, পরিবহন খরচসহ অনান্য খরচ। সব খরচ দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করতেই ৯০০ টাকা পড়ে যাচ্ছে। আর পাইকারি ৯২০ থেকে ৯৩০ টাক কেজি দরে বিক্রি করছি। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা লাভ থাকছে।’ 

পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘সোমবার (২৬ জুন) পর্যন্ত হিলিবন্দর দিয়ে মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে। সোমবার কোনো জিরা আমদানি হয়নি। তবে, ৩৮ ট্রাকে ১ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন