২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলনে ২ গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা || ২৪ জুন, ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম
টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলনে ২ গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও চেয়ার ভাঙচুর হয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) বিকালে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমন্তের অনুসারীদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে সম্মেলনের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ণে সদরের কলেজ রোডে আওয়ামী লীগ দলীয় ও সৈয়দ টাওয়ারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধায় জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসে কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে বৈঠক করছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সেতাব মাহমুদ বলেন, ‘সম্মেলন চলাকালে হল রুমের ভিড় ঠেলে এক কর্মী বার বার আসা-যাওয়া করছিলেন। তাকে নিষেধ করায় তিনি ক্ষেপে গিয়ে হাতাহাতি শুরু করেন। পরে তার পক্ষ নিয়ে অন্য কয়েকজন এসে মারামারি শুরু করলে এই বিশৃঙ্খলা হয়।’ 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, ‘মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি রেওয়াজ রয়েছে যে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব মির্জাপুর উপজেলার নেতারাই নির্ধারণ করে থাকেন। কোনো কারণ ছাড়াই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সেই রেওয়াজ ভঙ্গের জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ 

জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর শনিবার মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ আহম্মদুল্লাহ জুয়েল, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল গোস্বামী, সদস্য ডা. সালাম প্রামানিক ও নাবিলা  নোহাত চৈতি, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন প্রমুখ।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়ে প্রথম পর্বে নেতাদের বক্তৃতা চলছিল। এসময় মিলনায়তনের মাঝখানে বসার স্থান নিয়ে দুই কর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে হাতাহাতি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৫ জন সভাপতি ও ৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা দেন। জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক চলে।’

নোমান/এইচ



আরো পড়ুন