১৮ মে ২০২৪, শনিবার



তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর

মুঈন তাজ ওয়াল, মেহেরপুর || ১৯ জুন, ২০২৩, ১০:০৬ এএম
তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর


টানা কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে  মেহেরপুরে বেড়েছে হাতপাখার কদর। স্থানীয়রা বলছেন, বৈদ্যুতিক পাখার যুগে অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে হাতপাখা। তবে লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা, চার্জার ফ্যানের সংকট থাকায় গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুরনো দিনের হাতপাখাই ভরসা হয়ে উঠেছে। 

গরমের শুরুতেও হাতপাখার চাহিদা এত ছিল না। হঠাৎ করে গরম বেশি পড়াসহ লোডশেডিংয়ের কারণে বিক্রি বেড়েছে। গাংনী বাজারে হাতপাখা কিনতে আসা কাকলি খাতুন বলেন,‘গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম আর লোডশেডিং হচ্ছে। বাজারে চার্জার ফ্যানও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলেও দাম বেশি। যে কারণে এখন গরম থেকে বাঁচতে বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে হাতপাখা। তবে একটু বেশি সময়ে হাতপাখা নাড়াতে গেলে হাত ব্যথা হয়ে যায়। তারপরও কিছু করার নেই। তাই হাত পাখার বিকল্প কিছু নেই।’

আকার ও মানভেদে বাঁশের তৈরি হাতপাখা ৪০-৫০ টাকা প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে। বাইরে থেকে এসব বাঁশের তৈরি পাখা কিনে এনেছেন ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা। তিনি ঘুরে ঘুরে গাংনী উপজেলা শহরের অলিগলিতে বিক্রি করছেন এসব পাখা। প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০টি পাখা বিক্রি হচ্ছে।

গোলাম মোস্তফার মতোই  হাতপাখা বিক্রি করছেন নফেল উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘গরম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হাতপাখার চাহিদা শুরু হয়। তবে গরম বেশি ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে গত কয়েকদিন ধরে শহর ও গ্রামে বেশ হাতপাখার কদর বেড়েছে।’

এদিকে চাহিদার পাশাপাশি বিভিন্ন প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখার দাম প্রকার ভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি যে হাতপাখার প্রতি পিসের দাম পড়তো ৯ থেকে ১০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। 

ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা আক্ষেপ করে জানান, প্লাস্টিকের বানানো পাখা ও বিভিন্ন বাহারি ডিজাইনের রেডিমেট পাখা তাদের ব্যবসায় ধস নামিয়েছে।

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন