দিনজাপুরের হিলিতে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। প্রত্যেক সবজির দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে নিম্ন-মধ্যবিত্তের মাঝে। তবে আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে যে দামে আলু বিক্রি হয়েছে, রোববারও (১১ জুন) সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
হিলি কাঁচা বাজারে কথা হয়, কাঁচা সবজি কিনতে আসা মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে। জাকির হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তহের রোববার ( ৫ জুন) চেয়ে সবজির বাজারে অনেকটা কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পটল, ঢেঁড়শ কিনেছিলাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর আজ কিললাম ৩০ টাকা কেজি দরে। এতে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে। মাঝে মধ্যে যেভাবে দাম বেড়ে যায়, তাতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠে যায়।’
পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৫ জুন (আমদানি শুরুর আগে) বাড়ি থেকে অন্য সবজির সঙ্গে পেঁয়াজ নিতে বললে তো মাথায় বিগড়ে যেতো। তখন দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। কোনোমতে ২৫০ গ্রাম করে কিনে কিনে চলতে হয়েছে।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর দেশি পেঁয়াজের দামও কমে এসেছে। এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।’
খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে যখন সরবরাহ কমে যায়, তখন প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ে। এখন সরবরাহ বেড়েছে, দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। আমরা তো বেশি লাভ করি না। কাঁচামাল তাই কেজিতে ৫ টাকা লাভ ধরে বিক্রি করি। অনেক সময় বিক্রি হয় না। পচে যায়। কাঁচা মালের ব্যবসা এরকমই।’
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো, ফেরদৌস রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে। আজ ( ১১ জুন) বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ মোকাম থেকে ৩০ থেকে৩২ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/