১৮ মে ২০২৪, শনিবার



যে কারণে হিলিতে পাথর বিক্রিতে ভাটা

আনোয়ার হোসেন বুল, হিলি (দিনাজপুর) || ০১ জুন, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম
যে কারণে হিলিতে পাথর বিক্রিতে ভাটা


দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি কমেছে। আমদানিকারকা বলছেন, ক্রেতা নেই। পাথর বিক্রি হচ্ছে ধীরগতিতে। কমেছে দামও। অনেক ক্রেতা সময়মতো টাকা পরিশোধ না করায় আমদানিকারকরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। বর্তমানে যে দামে পাথর বিক্রি হচ্ছে, তাতে প্রতি মেট্রিক টনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।  বুধবার  (৩১ মে) হিলি বন্দরের আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

হিলি বন্দরের পাথর আমদানিকারক মো. ইদ্রিস আলী মিঠু বলেন, ‘আমি নিয়মিত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন আকারের পাথর আমদানি করি। এখনো আমদানি করছি। কিন্তু বিক্রি একেবারে কমে গেছে। প্রতি মেট্রিক টন পাথরে লোকসান হচ্ছে ৫০ টাকা করে। এরপরও ব্যবসা ধরে রেখেছি। দেখি কবে অবস্থার পরিবর্তন হয়।’ 

মিঠু বলেন, ‘৫/৮ ও ৩/ ৪ সাইজের প্রতি মেট্রিক টন পাথর আমদানি করতে সব খরচ দিয়ে দাম পড়ছে ৪ হাজার টাকার মতো। আর আজ  (৩১ মে) প্রতি মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৯৫০ টাকা মেট্রিক টন দরে। এতে প্রতি মেট্রিক টনে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অথচ এই পাথরই একমাস আগে (এপ্রিল) প্রতি মেট্রিক টন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ১৫০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। 

হিলি বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘আমার সিঅ্যান্ডএজেন্টের মাধ্যমে পাথর, ভূসিসহ বিভিন্ন মালামাল ভারত থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু একমাস ধরে পাথরের দাম কমে যাওয়ায় আমদানিও কমে গেছে। পাথরের ব্যবসায় নেমে এসেছে মন্দাভাব।’ 

রবিউল ইসলাম  আরও বলেন, ‘অনেক আমদানিকারক পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। আবার অনেক আমদানিকারক বাকিতে পাথর বিক্রি করে টাকা পাচ্ছেন না। মূলত তারাই টাকার তোলার আশায় কম পরিমাণে পাথর আমদানি করে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।’ 

পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি অব্যাহত আছে। তবে আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। গত মাসে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ ভারতীয় ট্রাক বন্দরে ঢুকেছে। বর্তমানে  ১০ ট্রাকে নেমে এসেছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই 




আরো পড়ুন