সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ‘দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি’তে চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত হচ্ছে অর্ধশত গ্রামের মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, এই কেন্দ্রে প্রতিদিন জরুরিভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন হাওরাঞ্চলের গ্রামগুলোর হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ। তবে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। সেবাবঞ্চিতরা বলছেন, এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র মানুষের সেবা
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের দরজা খোলা রয়েছে, তবে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ।
স্থানীয়রা জানান, গত চার মাস ধরে এখন থেকে কোনো স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারছেন না তারা। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা নিতে না পেরে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। পরিবার ও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে ৬টি পদ রয়েছে। পদগুলো হলো মেডিক্যাল অফিসার ১ জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ১জন, পরিবার ও পরিকল্পনা প্রদর্শিকা ১ জন, ফার্মাসিস্ট ১জন, আয়া ১জন, এমএলএসএস ১জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬ পদের মধ্যে মাত্র একজন (এমএলএসএস) রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.উজ্জ্বল হাসান বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সেবা একেবারেই বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন আশেপাশের গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা আলেয়া বেগম বলেন, ‘অনেকদিন ধরে চিকিৎসক নেই। যে কারণে আমরা চিকিৎসাসেবা নিতে পারি না।’
তাহিরপুর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের একজন ভিজিটর ছিলেন। বালিজুরি ইউনিয়নে উনার বদলিজনিত কারণে এই পরিবার ও পরিকল্পনা কেন্দ্রটিতে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হয়েছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/