ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। বেড়েছে সমুদ্রের পানির উচ্চতাও। এ কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সমুদ্রে হাঁটু পানির নিচে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে ৪ নম্বর সংকেত জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রে নামা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মধ্যেই শুক্রবার (১২ মে) বেলা ২টা ৪০মিনিট থেকে ৪ টা পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। তবে তেমন বাতাস দেখা যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, মোখার প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। থেমে থেমে আবারও হতে পারে। শুক্রবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা নাগাদ গতিপথ পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
মোখার কারণে সাগর স্বাভাবিক পরিস্থিতির চেয়ে কিছুটা উত্তাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সৈকতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ডকর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর। তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪ নম্বর সংকেত হলে সৈকতের পানিতে নামা বন্ধ করা হবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘প্রশাসন মানুষের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে। দুর্যোগকালীনের জন্য নগদ ২৫ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন কেক, ১৯৪ বান্ডেল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন এবং ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রাখা হয়েছে।’
আবু সুফিয়ান আরও বলেন, ‘প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। অবস্থা বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আনা হবে। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/