দিনাজপুরের হিলিতে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে মাহুতদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাহুতরা যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না পেলে রাস্তার মাঝখানে হাতি দাঁড় করিয়ে যানজটের সৃষ্টি করছেন মাহুতরা। এতে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন,চাঁদাবাজির কারণে একদিকে ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অভিযুক্ত মাহুত বলছেন, তারা চাঁদাবাজি করছেন না। হাতির খাবারের খরচ মেটাতে এভাবে টাকা তুলছেন।
ট্রাকচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘হিলিবন্দর থেকে মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ নওপাড়ায় সড়কের মাঝখানে একটি হাতি উল্টোমুখী হয়ে শুঁড় উঁচু করে ঘুরে দাঁড়ায়। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাতির শুঁড়ে ৫০ টাকা নোট গুঁজে দিয়েছি। তখন হাতি পথ ছেড়ে দিয়েছে।’
বাইক চালক মোজাম হোসেন বলেন, ‘আমি দ্রুতগতিতে বাইক নিয়ে জরুরি কাজে বোয়ালদাড় যাচ্ছিলাম। বিশাপাড়া পৌঁছামাত্র মাহুতের ইশারায় হাতিটি হঠাৎেই সড়কের ওপর শুঁড় উঁচু করে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে। আমি শক্তহাতে বাইক নিয়ন্ত্রণ করি। অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাই। পরে হাতির শুঁড়ে ২০ টাকা গুঁজে দিলে মাহুত পথ ছেড়ে দেয়।’
মোজাম হোসেন আরও বলেন, ‘এভাবে হাতির মাহুত প্রতিদিনই বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থামিয়ে টাকা তুলছেন। কেউ কিছুই বলছে না। সবাই টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাতির মাহুত সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হাতিটি আমার নিজের না। মালিক আছে। কিন্তু বর্তমানে সার্কাস কমে যাওয়ায় মালিকের পক্ষে হাতির খাবার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই মালিক আমাকে দিয়ে টাকা তুলে হাতির খাবারের পাশাপাশি আমার মজুরিও দিয়ে থাকেন।’
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সায়েম মিয়া ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। কোন সড়কে আছে, লোকেশন দিন। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/