দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনের কোনো স্টেশন মাস্টার নেই। তাই ট্রেন দাঁড়াচ্ছে প্ল্যাটফরমশূন্য লাইনে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, নারী ও শিশু যাত্রীরা। বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। বুধবার (৩ মে) হিলি রেলস্টেশনের ট্রেনযাত্রী ও বুকিং সহকারীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ট্রেনযাত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দরে একটিই রেলস্টেশন। এই স্টেশন থেকে আমদানি-রপ্তানিকারক, রাজশাহীগামী শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন। একে তো নেই যাত্রী ছাউনি, পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থাসহ নানাবিধ সমস্যা; তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্ল্যাটফরমবিহীন লাইনে ট্রেন দাঁড়ানো। এতে আমাদের ট্রেনে উঠতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
আরেক যাত্রী মোছা, রুমানা আক্তার বলেন, ‘শুনেছি হিলিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন স্টেশন মাস্টার কর্মরত ছিলেন। তখন এখানে ট্রেনগুলো থামতো প্ল্যাটফরমযুক্ত ১ নম্বর লাইনে। আমরাও অনায়াসে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারতাম। বুধবার (৩ এপিল) টিকেট কাটার পর দেখতে ট্রেন ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ালাম। বাচ্চা ও লাগেজ নিয়ে ট্রেনে উঠতে খুব কষ্ট হয়েছে।’
রাজশাহীগামী শিক্ষার্থী, মো. জিহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি রাজশাহিতে লেখাপড়া করি। ছুটিতে বাড়িতে এলে বরেন্দ্র ট্রেনে রাজশাহী যাই। আজ শুনছি ট্রেন ২ নম্বর লাইনে দাঁড়াবে। আর ২ নম্বর লাইনে কোনো প্লার্টফরম নেই। তাই কষ্ট করে ব্যাগসহ মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে।’
এলাকাবাসী মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘হিলি রেলস্টেশনে একজন অস্থায়ী স্টেশন মাস্টার ছিলেন। গত ৩০ এপ্রিল কর্মরত অস্থায়ী মাস্টার চলে গেছেন। এখন স্টেশনটি মাস্টারশূন্য হয়ে পড়েছে। শুধু একজন বুকিং সহকারী আর ৩ জন স্টাফ দিয়েই চলছে এই স্টেশন। মাস্টার না থাকায় উত্তরে বিরামপুর ও দক্ষিণে পাঁচবিবি রেলস্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে হিলি রেল স্টেশনটি। ট্রেন ইচ্ছেমতো ২ নম্বর লাইনে দাঁড়াচ্ছে, আবার ছেড়ে যাচ্ছে। তাই টিকিট কাটার পর ট্রেনে ঝুলন্ত অবস্থায় উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে তাড়াহুড়োর কারণে ট্রেনে উঠতে পারছেন না। ’
হিলি রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী মো. সুজন মিয়া ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলি রেলস্টেশনে বর্তমানে ১ নম্বর লাইনের পরিবর্তে ২ নম্বর লাইনে ট্রেন চলছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। গত ৩০ এপ্রিল থেকে কর্তৃব্যরত অস্থায়ী মাস্টার রিজাইন দিয়ে চলে গেছেন। আমি শুধু টিকিট বিক্রি করছি। তবে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দেবে। আশা করি, দ্রুত মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/