২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি’

রাফা নাঈম || ১০ মে, ২০২৩, ০১:০৫ পিএম
‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি’


‘অকস্মাৎ তোর বিয়োগব্যথা স্তব্ধ করে দিয়েছে আমাদের ছোট্ট পরিবারের পুরোটা পৃথিবী। মাত্র দিনকয়েকের জ্বরে কষ্টে কাতরে ওঠা তোর ছোট্ট শরীরে মায়ের শেষবার আদরটুকু করতে না পারার তীব্র যন্ত্রণাটুকু বইতে হবে আমৃত্যু। আমার টুবুল বাবা, তুই এতই ছিলিস বুকের ভেতর বুঝতেই পারিনি আগে। একলা একা দূর শহরে আমার এই রাত তাই ঘিরে আছে মৃত্যুর তীব্র অবসাদে। সোনাবাচ্চা আমার, তোকে বুকের মধ্যে কতই যত্নে রাখি!’

নিজের পোষা বিড়ালের মৃত্যুতে ব্যথাতুর হয়ে কথাগুলো বলছিলেন মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা। তিনি পেশায় একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। যত ব্যস্ততায়ই থাকুক, একটু অবসরে নিজের পরিবার ও পোষা বিড়ালের সান্নিধ্যই থাকে আনন্দ দিতো।

মোনালিসার বিড়ালের নাম টুবুল। জন্ম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। জন্মের পরপরই তিনি টুবুলকে কিনে এনেছেন। সন্তানদের সঙ্গে লালন-পালন করেছেন বিড়ালছানাটিকে। দুই বছর পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন টুবুলকে। কিন্তু জ্বরের কাছে হার মেনে  ৯ মে মারা যায় শখের বিড়ালটি।  

মোনালিসা জানান, আজ থেকে প্রায় দু’বছর আগে তিনি শখের বসে বাসায় নিয়ে আসেন টুবুলকে। অনেকটা পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে বলা চলে। অফিস থেকে ফেরার পর বাকি সময়টা পার করা হতো ওর সঙ্গে। 


তিনি বলেন,  ‘আমার দুই মেয়ে। নাম তাথৈ ও পৃথা। ওরা স্কুলে পড়ে। ওরা ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে এই বিড়ালটির সঙ্গেই খেলা করতো। ওই পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল যে, বলে শেষ করা যাবে না। অনেক আরামপ্রিয় ও শান্ত স্বভাবের ছিল টুবুল। কোনো বিরক্ত করতো না। ওর মৃত্যুতে পরিবারের সবারই মনটা খারাপ। বিশেষ করে আমার দুই মেয়ের।’

মোনালিসা বলেন, ‘তাথৈ ও পৃথা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বললেই চলে। আসলে বিড়ালটি পরিবারের সবার সঙ্গে এমনভাবে মিশে গিয়েছিল, ওর শূন্যতার কষ্টটা হয়তো রয়ে যাবে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন