খাগড়াছড়িতে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে মারা গেছে ৫ শিশু৷ এর মধ্যে ৩ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর চাপ। এদিকে, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনের ঠাণ্ডায় খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
সূত্র আরও জানায়, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠাণ্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। জনবল সংকটের কারণে বাড়তি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা। ভর্তিকৃত রোগীদের বেশিরভাগই জ্বর,সর্দি, কাশি, বমি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
শিশু রোগীর একজন অভিভাবক সালাম বলেন, ‘বাচ্চার বয়স ১ বছর। ঠাণ্ডা লাগার পর পরই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন চিকিৎসা চলছে।’
জেলার দীঘিনালা উপজেলা থেকে আসা শিশু রোগীর মা রিনা আক্তার বলেন, ‘আমার বাচ্চার জ্বর, পেট ব্যথা। এ হাসপাতালের চিকিৎসা ভালো। তাই এখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি।’
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ জন রোগী হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। অধিকাংশ রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বয়ষ্ক রোগীরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।’
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেক বাচ্চা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসছে।’ এসময় তিনি বাচ্চাদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরার্মশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও বাচ্চাদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
জলিল/এম