আউটসাইডার আর্টিস্ট
প্যান্টোমাইম স্টেজ,
মাথার উপরে কবি আর কবিতার
ঢালাইয়ে ভঙ্গুর ছাদ।
শূন্য করতালির শব্দে মুখরিত
স্বপ্ন আঁকা দুটি খোলা দেয়াল;
পেছনে হেলানো গূঢ়ার্থের আবরণ।
সামনে অপেক্ষমাণ স্ফূর্তিময়তায়
আবিষ্ট অডিয়েন্স।
দু’দিকে নেমে গেছে
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সিঁড়ি।
আর মাঝখানে আমি
এক আউটসাইডার আর্টিস্ট।
তুমি
তুমি মৃত্যুতাড়িত অন্ধকার এক কামরা
সেখানকার রহস্যময় ইটের গাঁথুনির ফাঁকগলে
বড়জোর পাঁচটি আঙ্গুলসমেত একটি হাত সিধোতে পারি
যেখানে শোকগাথার শেষ দৃশ্যের মতো
. অন্ধকারও মুখ ফিরিয়ে নেয়
অগত্যা স্মৃতিগুলো নাড়তে নাড়তে
প্রতিটি আঙুল বেড়িয়ে আসে মৃত্যুর বিশ্বাস নিয়ে
যে বিশ্বাসে একটি সেকেন্ডের জন্যও কোনো প্রজ্ঞা ছিল না।
কানাকুয়োর ডাক
আমি প্রায় রাতেই ঘুমাতে ভুলে
স্বপ্নের সুচিকন পথে হেঁটে যাই
যে পথে পুথির বাবাও হেঁটে চলে গেছে,
পোষা প্রজাপতিগুলো নিজেদের ডানা কেটে
ওই পথ বেয়ে বেয়ে শাড়ি পরে আমি হতে চায়।
আর আমি কিংবা আমরা ইতিহাসের পিঠে ডানা লাগাই
বিকিয়ে যাই প্রতিরাতের গল্প
তখন ডোলকলমি ঘেরা ছমছমে বনে
আশ্বালি ভাটে জড়িয়ে ফেলি কানাকুয়োর ডাক।