গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মাঠে মাঠে বড় হতে শুরু করেছে ধান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধান সোনালী দানায় পরিনত হচ্ছে। চৈত্রের রুক্ষুতার মাঝে এই দৃশ্য শীতল করছে কৃষকের মন। আশা করছেন বাম্পার ফলনের। কৃষি অফিসের তথ্যমতে এ বছর উপজেলায় ১০ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।
বুধবার ( ১২ এপ্রিল) সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বড়ই বাড়ী,তাঁলতলী,বাঁশতলী দিঘীবাড়ী, খালপাড় সেওড়াতলী, বলিয়াদী, বগাবাড়ী, সাদুল্লাপুর, গোসাএা, নামাশুলাই,মেদিয়াশুলাই, গাবতলি, মকস,পিপড়া সিট,নয়ানগর,সাকাশ্বর,ইতালি বাজার,ফুলবাড়িয়া,গাবচালা,শৈলাখালি,বোয়ালী,দেওয়ার বাজারসহ উপজেলার সব এলাকায় এবছর নতুন জাতের ধান ব্রি-৮৯, ব্রি৯২, উফসি২৯ এবং ব্রি-২৮,২৯ জাতের ধান জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। আর কদিন পরেই পাকবে ধান। ধানের শীষ নিয়ে সন্তুষ্ট কৃষকেরা আশা বাম্পার ফলনের।
কৃষক বামন্দহ জাদপ চন্দ্র সরকার বলেন,আমাদের মাঠে প্রচুর পরিমাণ ধান হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বড় বড় ধানের শীষ দেখা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা না হলে এবছর আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।
করিম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক জানান, আমি ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। আমার ধান অনেক ভাল হয়েছে। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ে যদি কোন ক্ষতি না হয় তাহলে আমি বিঘাপ্রতি ৩৫ হতে ৩৬ মন ধান পাবো।
কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। উপজেলার ১০ হাজর ১৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এ বছর বড় ধরনের ঝড়, বৃষ্টি, শিলা না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশ করছি, কৃষক সঠিক সময় ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ/