২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

ডলার কেনায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার || ০২ এপ্রিল, ২০২৩, ০১:৩৪ পিএম
ডলার কেনায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক


রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন  বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, হুন্ডির চাহিদা কমানোর দিকে মনযোগ দিচ্ছে  কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া কোনো ব্যাংক যদি ডলার কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম করে, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রবিবার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি তথ্য জানান। 

মেজবাউল হক বলেন, বিএফআইইউ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগের পরে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। একইসময়ে আমরা হুন্ডির চাহিদা কমানোর দিকে মনযোগ দিচ্ছি। হুন্ডির চাহিদা আন্ডার ইনভয়েসিং থেকে তৈরি হয়। আমরা যদি আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে আমরা হুন্ডির চাহিদা কমাতে পারবো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন,  হুন্ডি যে করছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একইসময়ে এর চাহিদা কমানোর চেষ্টা করছি। এদিকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বাফেদার নির্ধারিত একটি দর আছে। আমরা ব্যাংকগুলোকে বলেছি, নির্ধারিত এই দামেই যেন রেমিট্যান্সের ডলার কেনে। তবে কোনো ব্যাংক যদি ডলার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মেজবাউল হক বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। যেন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে খেলাপি ঋণ রাখা যায়। আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে ব্যাংকগুলো যেন খেলাপি ঋণ আদায়ে উদ্যোগী হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডলারের অনেকগুলো রেট আমরা প্রায় কাছাকাছি নিয়ে আসছি। আমরা বারবারই বলছি যে সিঙ্গেল রেটে পৌঁছাবো।

অর্থঋণ আদালতের মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, মামলা নিষ্পত্তি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আমাদের আইন বিভাগের মাধ্যমেও মামলাগুলো তদারকি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটা পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে আবার হয়তো ১২ থেকে ১৩ হাজার মামলা নতুন করে যোগ হয়েছে। তবে মামলা নিষ্পত্তির গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মেজবাউল হক বলেন, অর্থঋণ আদালতে মামলায় ব্যাংকগুলোর দায়ের পরিমাণ ছিল ৮২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছে ২১ হাজার কোটি টাকা। মামলার রায় পেলেও সম্পদ বিক্রিসহ অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করতে দীর্ঘমেয়াদি সময় প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থাকায় আমাদের দেশে এসব কাজে অনেক সময় লাগে। তাই মামলা নিষ্পত্তি ও আদায়ের মধ্যে বড় একটি ব্যবধান থাকে।

ঢাকা বিজনেস/তারেক/এনই/



আরো পড়ুন