২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার



রাঙামাটির লেকের নীল জলে ভাসছে ‘রয়েল অ্যাডভেঞ্চার’

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৬:৩৩ এএম
রাঙামাটির লেকের নীল জলে ভাসছে ‘রয়েল অ্যাডভেঞ্চার’


চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকের নীল জলে ভাসছে ‘রয়েল এডভেঞ্চার’নামের একটি দ্বিতল  হাউজবোট। এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাঠের তৈরি হাউজবোট।

এই প্রমোদতরী  প্রসঙ্গে  ‘দ্য রয়েল অ্যাডভেঞ্চার’-এর প্রধান নির্বাহী  (সিও)  মো. মহিউদ্দিন মজুমদার আনন্দ জানান, রাঙামাটি একটি পর্যটন নগরী। এখানে হ্রদ, পাহাড়, ঝর্ণা একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। হ্রদের বুকে এই ধরনের সুন্দর সুবিধা সংবলিত একটি হাউস বোট পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করবে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য লেকে বেড়ানোর  চমৎকার মাধ্যম তৈরি হলো।’

মহিউদ্দিন মজুমদার আনন্দ আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণত ভিয়েতনাম, চায়না, থাইল্যান্ড এসব দেশে এই ধরনের প্রমোদতরী দেখতে পাই। কিন্তু রাঙামাটিতেও এই ধরনের হাউস বোট চালু করে আমরা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। আমরা  মনে করি, আমরাও ধীরে ধীরে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট যুগে প্রবেশ করছি। এই হাউস বোট পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি রাঙামাটির পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’



দ্য রয়েল অ্যাডভেঞ্চারের সিইও বলেন, ‘পর্যটন খাতে কাজ করার মানসিকতা থেকেই আমরা এই হাউস বোটটি তৈরি করেছি। এটি রাঙামাটির সবচেয়ে বড় হাউস বোট। আমাদের এখানো মোট আটটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে বারান্দাসহ দুটি সুপার প্রিমিয়াম রুম আছে। প্রতিটি রুমের সঙ্গে ওয়াশরুম আছে। প্রতি রুমে চার জন করে থাকা যাবে। আমাদের বোটেই নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা স্থানীয় ও ট্রেডিশনাল খাবারগুলো সার্ভ করার চেষ্টা করছি। যেন পর্যটকরা স্থানীয় খাবার সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করতে পারে।’

তবে কোনো পর্যটক চাইলে তার চাহিদা মতো সব ব্যবস্থা করা যাবে। কারণ রান্নাঘর আমাদের বোটে রয়েছে। কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা একজন পর্যটক  বলেন, ‘বোটটা আসলেই খুব সুন্দর করেছে। বিশেষ করে ছাদে কৃত্রিম ঘাসের কার্পেটে বসে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।  এছাড়া, রুমের ভেতর থেকেও বাইরের ভিউটা খুব সুন্দর। মালদ্বীপের হাউস বোটগুলোর মতোই মনে হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা শেফালিকা চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটি যেহেতু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। তাই এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশটা থাকা খুব প্রয়োজন, যা এই বোটটিতে আছে। রাঙামাটির অন্যান্য হাউস বোটগুলোতে সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও অনেক বোটে প্রকৃতি উপভোগের সুযোগটা নেই। সেক্ষেত্রে পর্যটক আকর্ষণে অন্য বোটগুলো থেকে রয়েল অ্যাডভেঞ্চার এগিয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।’



দ্য রয়েল অ্যাডভেঞ্চার জানায়,  এই বোট দেশের অন্যতম বিলাসবহুল প্রমোদতরী, যা রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকে পর্যটক নিয়েভ্রমণ করবে। এতে আছে ৮ রুম। প্রতিটি রুমেই আছে এটাচ ওয়াশরুম। এর মধ্যে দুটি রুম আছে সুপার প্রিমিয়াম। যেগুলো ব্যালকনিসহ। প্রতিটি রুমেই ৪ জন করে লোক থাকতে পারবে। দু-তলায় একটা বড় রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে বোটের গেস্টরা খাওয়া দাওয়া করতে পারবে। 

এই বোটে রাঙামাটির বিশেষ পর্যটন প্লেসগুলো প্যাকেজে পর্যটকরা ২ দিন ১ রাতের জন্য ঘুরতে পারবেন। প্যাকেজের মধ্যেই পর্যটকদের জন্য ২ দিনে ৬ বেলা খাবার, ৪ বেলা নাস্তা, সব স্পটগুলো ঘোরা প্লাস ১ রাত প্রমোদতরীর মধ্যেই ভেসে ভেসে রাত্রিযাপন। প্যাকেজের খরচ প্রতি রুমে ৪ জন করে থাকলে প্রতিজন ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে পড়বে। ইতিমধ্যে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বোটটি। উদ্বোধনী হওয়ার পরেই রেগুলার বুকিং শুরু হয়ে গেছে বোটটিতে। 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন