দেশের পুঁজিবাজারে একসপ্তাহ (১২ মার্চ-১৬ মার্চ)-এ বেশিরভাগ সময় লেনদেন ও সূচকে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। একইসঙ্গে বাজার মূলধনও কমেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) এ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারমূলধন কমেছে ৩ হাজার ৬৯৬ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার ৭৪ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে জানা গেছে, একসপ্তাহে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ১৬ টাকা। আগের সপ্তাহে ছিল ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯১ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা বাজার মূলধন। এক্ষেত্রে বাজার মূলধন কমেছে ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে ডিএসইতে প্রধান সূচকসহ সব সূচক নেতিবাচক ধারায় ছিল পুরো সপ্তাহে। ডিএসই প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স) ৩৯ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসইএক্স ছিল ৬২২০ দশমিক ২৪ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬২৬০ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই সূচক ছিল ২২১৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে ছিল ডিএসই সূচক ২২২৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ ০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) বিদায়ী সপ্তাহে ছিল ১৩৫৬ দশমিক ৮৫ সূচক। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৩৬২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ ০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১৫ টি কোম্পানির, কমেছে ১৪১টির, অপরিবর্তিত ছিল ২২২টি কোম্পানির দর এবং লেনদেন হয়নি ২২টি কোম্পানির লেনদেন হয়নি।
আগের সপ্তাহে ১৩৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল, দর কমেছে ২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ২২৫টির এবং ১৭টি কোম্পানির লেনদেন হয়নি।
পুরো সপ্তাহে ডিএসই’র পি/ই রেশিয় ছিল ১৪ দশমিক ৩৫। আর এর আগের সপ্তাহে পি/ই রেশিয় ছিল ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে পি/ই রেশিয় কমেছে ০ দশমিক ০৫। অর্থাৎ ০.৩৪ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহে মোট ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ৯৪০ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার অংকে মোট লেনদেন কমেছে ১.৭৪ শতাংশ।
পুরো সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫০৮ কোটি ২ লাখ ৫ হাজার ৫৮৮ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৬ টাকা। এক্ষেত্রেও প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন কমেছে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এ বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩১৮ দশমিক ৯০ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৬৩ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪০.৭৩ টাকা। অর্থাৎ ৯ শতাংশ। গেলো সপ্তাহে ২৬৬ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছিল। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬৫টির। এর আগের সপ্তাহে মোট ২৭০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩ টি কোম্পানির, দর কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৩৫টির।
সিএসই’র সব সূচক কমেছে। সিএএসপিআই সূচক বিদায়ী সপ্তাহে ছিল ১৮৩৫২.৭১৭৭ পয়েন্ট। আর এর আগের সপ্তাহে ছিল ১৮৪৫০.১৫০৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সূচক কমেছে ০.৫২ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বিদায়ী সপ্তাহে ছিল ১৩৩৩৩ দশমিক ৯২১২ পয়েন্ট। আর এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৩৩৫২ দশমিক ৭৮১৮ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে পয়েন্ট কমেছে ০ দশমিক ১৪ শতাংশ। সিএসসিএক্স বিদায়ী সপ্তাহে ছিল ১১০০১ দশমিক ৭১। আর এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১১০৫৯ দশমিক ৯১ সূচক। এক্ষেত্রেও সূচক কমেছে ০ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ঢাকা বিজনেস/তারেক/এনই