অন্য দশজন নারীর মতো তিনিও একজন গৃহবধূ। স্বামী-সংসার সামলানোই ছিল যার প্রধান কাজ। এর বাইরেও যে কিছু করা যায়, ঘরে বসে কাজ করেই অর্থ উপার্জন করা যায়। এসব নিয়ে তার তেমন ভাবনা ছিল না। তবে ফেসবুকে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে দৃশ্যপট।
বাংলাদেশের নারী উদ্দ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম উই গ্রুপে হাজার হাজার নারীর সাফল্য দেখে তিনিও উৎসাহিত হন। অন্যদের দেখে তার নিজের মধ্যেও উদ্যোক্তা হওয়ার তাগিদ জন্মায়। বলছি, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর মুন্সিপাড়ার গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানার কথা।
এ সময় রাজিয়া হস্তশিল্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বেছে নেন পাটজাত পণ্যের উৎপাদন। একে একে পাট দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি করা শিখতে শুরু করেন। কখনো ইউটিউব দেখে, কখনো বা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করেন। পরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ নিয়ে পাটজাত পণ্য উৎপাদনের কাজ পুরোপুরি আয়ত্ব করে ফেলেন। এরপরই শুরু হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে রাজিয়া সুলতানার পথচলা।