২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার
আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে বলে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি ব্যক্তির মানবাধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা তা মাথায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যারা মানবাধিকারের কথা বলছেন এবং ‘দূরবীন’ দিয়ে গণতন্ত্র খোঁজেন, তাদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ভুলে গেছেন, জিয়াউর রহমান দেশে গুম ও হত্যার সংস্কৃতির সূচনা করেছিলেন। মানুষ খুন করে গুম করে ফেলা হতো।’ তিনি বলেন, ‘জিয়াই দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সর্বদা সামরিক স্বৈরশাসকদের সরকার এবং দেশে জরুরি অবস্থাকালীন সময়কে পছন্দ করেন। কেননা সেই তাদের কদর বেড়ে যায়, তারা অগ্রাধিকার পান। আর সেজন্য তারা যেন দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চান।’ তিনি আরও বলে, ‘তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, তারা দেশে বলবৎ সামরিক শাসনামলেই গণতন্ত্র খুঁজে পান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আওয়ামী লীগই দেশে গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছে। করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বতর্মনা সরকার সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’ তিনি দেশবাসীকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে কঠোরতা প্রদর্শন এবং সংকট মোকাবেলায় সঞ্চয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার জাতীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সূত্র: বাসস
ঢাকা বিজনেস/এনই
