ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নিয়োগ সংক্রান্ত অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ ও সাবেক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের ২য় তলায় ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে ভিসিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্র সংগঠনের সাবেক ওই নেতাকর্মীদের। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ভিসির কার্যালয় তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। এসময় প্রশাসন ভবনের সামনে মাইক দিয়ে ভাইরাল হওয়া অডিওগুলো বাজানো হয়। অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান এবং সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলনটি চলমান রয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ তাদেরকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর সুপারিশ করলেও তারা তা নাকচ করে দেন।
এ বিষয়ে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমরা প্রক্টর স্যারের নেতৃত্বে আলোচনায় বসতে চাই। ভিসির দুর্নীতি এখন প্রকাশ্যে এসেছে এবং তিনি নিজেও বলেছেন অডিওগুলোও তারই। তাই যেকোনো একটা সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, ‘প্রকাশিত অডিওগুলো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত একজনের নামে চালানোর কোনো অধিকার নেই। আমি পুলিশদের বলেছি তৎক্ষণাত মাইকগুলো সরিয়ে ফেলতে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো মিটিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত।’
উল্লেখ্য, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ পৃথক দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে ৫টি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। পরে ‘আল বিদা’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে ভিসির আরও একটা অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওতে চাকরির প্রশ্নের বিষয়ে কথোপকথন, চাকরির বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসিকে কথা বলতে শোনা যায়।
ইমন/এম