২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

জাবিতে গণরুম বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

জাবি সংবাদদাতা || ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১২:০২ এএম
জাবিতে গণরুম বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বহিষ্কার করা, নতুন হলগুলো চালু করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং ভর্তুকি দিয়ে ডাইনিংয়ের খাবার মানসম্মত করা।

সমাবেশে বক্তারা গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে বৈধ সিট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী পহেলা মার্চ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘প্রশাসন বলেছিল গণরুম নাকি জাদুঘরে যাবে। কিন্তু বাস্তবে গণরুম জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। এখানে কি হচ্ছে বা হয় তা সবাই জানেন। গণরুমে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য না আছে ঘুমানোর ব্যবস্থা, না আছে পড়াশোনার পরিবেশ। এছাড়া ম্যানার শেখানোর নামে অমানবিক নির্যাতন করে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।’

দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘আমি গণরুমের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। মধ্যরাতে সিনিয়ররা ম্যানার শেখানোর নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ অমানবিক নির্যাতন করে। এছাড়া নানা ধরনের বাধ্যবাধকতাও দেওয়া হয়। আমরা হলের ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে খেতে পারি না। যা আমাদের মানসিক বিকারগ্রস্ত করে তুলছে।’ 

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমক বাগচী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নানা রকমের আবাসিক সোসাইটি বানানো হয়। তবে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করে অন্য জায়গায় চলে যায়। আর শিক্ষার্থীদের এ ময়লার ভাগাড়ে মানবেতর জীবনযাপণ করতে হয়।’

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফার রহমান নবীনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় ও চলচিত্র আন্দোলনের কর্মী সিল্কি নুর প্রমুখ।

উজ্জল/এম



আরো পড়ুন