বীরত্বপূর্ণ ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল সাহসিকতা পদক’ পেলেন আনসার ব্যাটালিয়নের-৩ এর অধিনায়ক চন্দন দেবনাথ। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনার রূপসা আনসার ব্যাটালিয়নের-৩ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ পদক প্রদান করেন।
চন্দন দেবনাথ ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএস (আনসার) কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে সহকারী পরিচালক পদে প্রথম যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৬ সালে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নে প্রেষণে গমন করেন। প্রায় ৫ বছর র্যাবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। র্যাব-৭, চট্রগ্রাম ও র্যাব-১৪, ময়মনসিংহে দায়িত্ব পালনের সময় মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রাস, মানব পাচারকারী দমন, ক্লুলেস মামলার আসামি গ্রেপ্তার করে দেশের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
২০২০ সালের শেষের দিকে নিজ বাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করে অক্টোবর ২০২২ -এ ৩ আনসার ব্যাটালিয়ন, ছোটমেরুং, দিঘীনালা, খাগড়াছড়িতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান করে প্রশংসা লাভ করেন। তিনি পার্বত্য এলাকায় অপারেশন উত্তরণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে পাহাড়ি সন্ত্রাস দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখেন।
পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তিনি তার ব্যাটালিয়ন নিয়ে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার ইলাইপুরে আবর্তন করেন। নতুন স্থানে আগমনের পর থেকে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক চন্দন দেবনাথের নির্দেশনায় বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের আশেপাশে চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। গত এপ্রিল-২০২২ থেকে ডিসেম্বর-২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে ৩৮ জন চোর চক্রের সদস্যকে আটক করেন এবং প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করে পুলিশে সোপর্দ করেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় এই সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল সাহসিকতা পদক’ প্রদান করা হয়।
বাপ্পা/এম