১৮ মে ২০২৪, শনিবার



পাতাল রেল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম
পাতাল রেল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-২) প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর-৪ এ প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি।

জানা গেছে, সরকার প্রথমবারের মতো বিমানবন্দর-কমলাপুর এবং পূর্বাচল-নতুন বাজার-রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ রুটের মধ্যে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটারের পাতাল ও উড়াল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ডিএমটিসিএল এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এমআরটি লাইন-১ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় প্রথম রেল ডিপো নির্মাণ করা হবে। 

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা জাপানি ঋণ আর বাকি অর্থ ব্যয় করবে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এতে বলা হয়, এমআরটি লাইন ১-এর প্রথম অংশ হলো: বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর-কমলাপুর), যাতে ১২টি স্টেশনসহ ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটারের পাতাল রেল হবে। আর দ্বিতীয় অংশ হলো পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো), যাতে ৯টি স্টেশনসহ ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল হবে। এই স্টেশনগুলোর মধ্যে সাতটি স্টেশন উড়ালে হবে এবং বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুন বাজার ও নর্দ্দা স্টেশন পাতাল অংশে থাকবে।

প্রসঙ্গত, এমআরটি লাইন-১ চালু হওয়ার পর এই রুটে ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১ পাতাল স্টেশন চার তলাবিশিষ্ট হবে। টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রথম বেসমেন্ট লেভেলে থাকবে। প্ল্যাটফর্মটি হবে দ্বিতীয় তালায়। উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম হবে চতুর্থ তলায়। উড়াল ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি এবং এসকেলেটর থাকবে।

প্রকল্পটির জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডিএমটিসিএল। প্রকল্পটি ১২টি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন