গাইবান্ধা জেলায় ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। আকাশচুম্বী এই দাম থেকে রেহাই পেতে এই বছর গাইবান্ধার চাষিরা সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এবার সরিষায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। আর কৃষি বিভাগ প্রায় ২৩ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরে ১০ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়। এতে উৎপাদন হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন। আর এ বছরে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিশীল থাকায় এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর চাষ থেকে প্রায় ২৩ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
গাইবান্ধার বাদিয়াখালীর চকবরুল গ্রামের কৃষক রোজিনা বেগম বলেন, ‘কৃষি অফিসের সহযোগিতা দেড় বিঘা জমিতে বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ করেছি। এতে ২ কেজি বীজ রোপণ করেছি। আশা করি, বাম্পার ফলন হবে। আর কয়েকদিন পরই এই ফসল ঘরে তুলবো। এতে প্রায় ৯ মণ সরিষা পাবো।’
স্থানীয় চাষি আবদুস সবুর বলেন, ‘আগে কখনো সরিষার চাষ করিনি। ইদানিং ভোজ্যতেলের দাম বেশি হওয়ায় এবং কৃষি অফিসের নগদ টাকা, সার-বীজ সহায়তা পেয়ে এই চাষ করেছি। এতে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ কাঁচা সরিষা ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে বেশ লাভবান হবো।’
গাইবান্ধা সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এই বছরে অধিক পরিমাণ জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। চাষিদের লাভবান করতে ইতোমধ্যে প্রণোদনা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের সার্বিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/