২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার



আর কত চলতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
আর কত চলতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে


গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের দামোদরপুর-রসুলপুর সীমান্তে চান্দের বাজার এলাকার ঘাঘট নদীর ওপর গত ৫১ বছরেও তৈরি হয়নি পাকা ব্রিজ। ফলে কাঠের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই সহস্রাধিক মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, কাঠের ভাঙা সেতুতে হাতে প্রাণ নিয়ে চলাচল করতে হয়। তাদের প্রশ্ন, ‘কবে নাগাদ পাকা ব্রিজ তৈরি হবে? আর কত চলতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে।’

সরেজমিনে দেখো গেছে, ঘাঘট নদীর ওপরে ওই ভাঙা সাঁকো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে। কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ  বাইসাইকেল নিয়ে পার হচ্ছেন। কেউবা মালামাল মাথায় নিয়ে হেঁটে পার হচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, ইব্রা মণ্ডলের ঘাটে প্রায় একদশক আগে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে মানুষ চলাচলা করতো। বারবার নৌকাডুবি হওয়ায় স্থানীয়দের আর্থিক ব্যয়ে কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। এই সাঁকোও বছর বছর সংস্কার করতে হয়। সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তাও কঠিন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এই সাঁকো প্রতিদিন স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। এতে উৎকণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা। বর্ষা এলেই নদ কানায় কানায় ভরে গেলে বেড়ে যায় আরও দুর্গতি। এছাড়াও হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের ওপর। একটু দেরি হলেই মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয় এই সাঁকোতে। 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কাজে কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। এতে সময় নষ্ট ছাড়াও জীবনের ঝুঁকিতে থাকতে হয়। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কাজ হয়নি।’

দামোদরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মিঠু রহমান জানান, ‘এখানে ব্রিজ হলে লেখাপড়া, ব্যবসা বাণিজ্যসহ কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।’

সাদুল্লাপুর উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন, ‘ইতোমধ্যে ওই কাঠের সাঁকোটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন