২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



খড় কাটার মেশিন: এনেছে সচ্ছলতা, দিয়েছে সাশ্রয়

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
খড় কাটার মেশিন: এনেছে সচ্ছলতা, দিয়েছে সাশ্রয়


দিনাজপুরের হিলিতে গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে বেড়েছে মেশিনে কাটা খড়ের চাহিদা। অনেকে নিজের বাড়ির আবাদের খড় নিয়ে এসে মেশিনে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে মেশিনের কাটা খড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে। খড়ের ক্রেতা-বিক্রেতা বলছেন, যাদের বাড়িতে গবাদি পশু আছে, তারা নিজের জমিতে ধান আবাদের খড় মেশিন দিয়ে কেটে নিতে এসেছেন।  এদিকে, মেশিন মালিকরা বলছেন, শুধু খড় নয়।  এখানের গম, সরিষার তেলও ভাাঙা হয়।  

হিলির মালেপাড়া গ্রামে খড়কাটা মেশিনে নিজের ধান আবাদের খড় কাটতে এসেছেন ইসমাইলপুর গ্রামের মো. মনতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি কৃষক মানুষ। নিজের জমিতে আবাদ করি। পাশাপাশি যেহেতু গ্রামে বাড়ি। তাই ৪ টি গরু পালন করি। গরুগুলোকে ঘাস খওায়ই। সেই সঙ্গে অতির্ক্তি খাবার হিসেবে কাটা খড়ের সঙ্গে ভূসি মিশিয়ে খেতে দেই। তাই মেশিনে বাড়ি থেকে মেশিনে খড় কাটার জন্য এসেছি।’

মনতাজ হোসেন আরও বলেন, ‘প্রতি আঁটি খড় কাটতে মেশিনের মালিককে দেড় টাকা করে দিতে হয়। আর পারিষ্কার করে নিয়ে আবার বাড়িতে ৫০ পয়সা করে দিতে হয়।’ 

আরেক ব্যক্তি মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়িতে ৩টি ছাগল আছে। প্রতিদিন কাঁঠালপাতার পাশাপাশি ছানি খেতে দেই। এই জন্য কাটা খড় কিনতে আসা। মেশিনের মালিক খড় কেটে পলিথিনের ব্যাগে ভরে রেখেছেন। এক ব্যাগ খড়ের দাম ধরে ৩০ টাকা করে। ১২০ টাকা দিয়ে ৪ ব্যাগ খড় কিনে নিয়ে গেলে এক সপ্তাহ চলে যায়। সেই সঙ্গে কাঁঠালপাতাসহ অন্যান্য পাতাও খেতে দিতে হয়।’ 

খড় কাটা মেশিনের মালিক মো. মোকছেদ আলী বলেন, ‘আমি বাড়ির ধারে খড়কাটা মেশিনসহ গম, সরিষার তেল ভাাঙার মেশিন বসিয়েছি। অনেক গরুর মালিক বাড়িতে খড় নিয়ে এসে কেটে নিয়ে যান। আর ছাগলের মালিকেরা ব্যাগ ভর্তি খড় কিনে নিয়ে যান। এছাড়া অনেকে গম, সরিষা নিয়ে আসেন ভাঙানোর জন্য। আমার ৩টি মেশিনও মোটামুটি চলে। তবে শ্রম দিতে হয়। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে  যা থাকে তা দিয়েই সংসার চালাই।’ 




আরো পড়ুন