কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সামিটের এলএনজি টার্মিনাল মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে গ্যাস সরবরাহ। দিনে ৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ সক্ষমতা থাকলেও ৬ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে সামিট কর্তৃপক্ষ। তবে ধীরে ধীরে সরবরাহ বাড়বে বলে জানিয়েছে সামিট।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টার্মিনাল প্রস্তুতের তথ্যটি জানায় সামিট। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ, সার ও শিল্প খাতে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় সামিটের কর্মীরা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারেরা পুনরায় গ্যাস সরবরাহ চালু করতে দিনরাত কাজ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সময় থেকে টার্মিনাল মেরামতসংক্রান্ত খরচ ও কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সামিটের প্রায় শতাধিক কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এখন এটি ৫০ কোটি ঘনফুট করে গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রস্তুত।
তবে পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, সামিটের টার্মিনালের মজুত থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। গ্যাসের প্রবাহ বাড়াতে একটু সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া খোলাবাজার থেকে নতুন করে এলএনজি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন এলএনজির জাহাজ এলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গত ২৭ মে বন্ধ হয়ে যায় সামিটের টার্মিনাল। এটি সিঙ্গাপুরে মেরামত শেষে জুলাইয়ের শুরুতে চালুর কথা ছিল। তবে মেরামত শেষে দেশে ফেরার পর গ্যাস সরবরাহ চালুর আগেই আবার দুর্ঘটনায় পড়ে সামিটের টার্মিনাল।