০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

একমাসের মধ্যেই সরকারের লক্ষ্য জানানো হবে: তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক || ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩৯ এএম
একমাসের মধ্যেই সরকারের লক্ষ্য জানানো হবে: তথ্য উপদেষ্টা


অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জানালেন  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যেই সরকারের লক্ষ্য দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হবে।’ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদিরা সিম্পসন ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

নাহিদ বলেন, ‘এটি ছাত্র জনতা সরকার এবং এই সরকারের মূল লক্ষ নতুন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করা, এজন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন,  বাংলাদেশের যুবসমাজ তথ্য প্রযুক্তিতে আগ্রহী এবং পারদর্শী। তিনি  তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যুবসমাজকে অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তুলতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ট্রেনিং প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেন।’

আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক বিচার করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর জানুক আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সঙ্গে কী নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে!

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য যৌথভাবে আইসিটি, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি মিডিয়ার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার বিষয়েও কথা বলেন। উভয় দেশ সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়।

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে ধারাগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে, প্রয়োজনে সেগুলো সংশোধন করা হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের বাংলাদেশে যে ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং আন্দোলনের সময় যে গণহত্যা তারা চালিয়েছে এবং এর পরিণতি সম্পর্কের বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করতে চাই। এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

নাহিদ  বলেন, আমরা জানি যুক্তরাজ্য প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে এবং এ বিষয়ে তাদের জ্ঞানও অনেক। এই বিষয়গুলো যদি তাদের সঙ্গে শেয়ার করা যায় তাহলে আমাদের সরকার তথা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আইসিটি ডিভিশনে আমাদের কিছু প্রকল্প আছে যাতে তরুণদের নতুন নতুন উদ্যোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয় সেই প্রকল্পগুলো আরও আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। আমরা এই তরুণদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে চাই। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংকেও বাংলাদেশের তরুণরা ভালো করছে সে বিষয়গুলো কে প্রাতিষ্ঠানিক করা প্রয়োজন। এর বাইরে এমন কিছু প্রকল্পের কথা ভাবছি যেখানে আমাদের তরুণদের ব্যবহার করা এবং বিদেশে আমাদের যে দক্ষ জনবল আছে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা যায়।

হাইকমিশনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিগত সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে। আমাদের ডাটাবেজ এবং ইনফরমেশন আপ টু ডেট রাখার মাধ্যমে সেই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছি।



আরো পড়ুন