প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। সেখানে গত চারদিনে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুধু বৃহস্পতিবারেই (২২ আগস্ট) বৃষ্টির কারণে ধস নেমে একইসঙ্গে দুই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। এ নিয়ে আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
আনন্দবাজারের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে ত্রিপুরায়। এর ফলে একাধিক নদীর পানি বেড়ে গেছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা এবং উনকোটির মতো রাজ্যের ছয়টি জেলায় নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। গ্রামের পর গ্রাম পানিতে ভেসে গেছে। বিঘা বিঘা চাষের জমি পানির নিচে।
ত্রিপুরায় বন্যার কারণে অন্তত ১৭ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত বলে পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের পাশাপাশি দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ত্রিপুরায়। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে দেশটির বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরার গোমতি জেলা। এ ছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনকোটিতেও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। রাজ্যটির বিভিন্ন প্রান্তে ৪৫০ এর বেশি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। ত্রাণশিবিরে এই মুহূর্তে ৬৫ হাজার ৪০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রবল বৃষ্টির কারণে বারবার ধসও নামছে ত্রিপুরায়। এতে রাজ্যটিতে বিপদ আরও বাড়ছে। বন্যার কারণে রাজ্যের ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারছে না দেশটি আবহাওয়া অফিস। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়। রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে শনিবার পর্যন্ত।