সুস্থ থাকার জন্য সকালের নাশতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটি হতে হবে স্বাস্থ্যকর। সারারাত না খেয়ে সকালে নাশতা না করলেই বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এমনকি অনেকেই জানে না যে ওজন কমাতেও সকালের নাশতা প্রভাব ফেলে। সকালের নাশতায় কিছু খাবার রাখলে সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের প্রতিবেদনে এমন কিছু খাবারের কথা উঠে এসেছে। পুষ্টিবিদরা সকালে এমন কিছু খাবার খেতে বলেছেন, যা আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ আনবে।
ডিম: ডিম দারুণ পুষ্টিকর খাবার। ডিমে ভিটামিন এবং খনিজ আছে যা আপনাকে সুস্থ রাখে। সকালের নাশতায় ডিম রাখলে দীর্ঘসময় ক্ষুধা লাগে না, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই সকালে ডিমের যেকোনো একটি পদ খেতে পারেন। সেদ্ধ হলে আরও ভালো, এতে কোনো তেল লাগে না।
কলা: সকালের নাশতায় কলা রাখতে পারেন। এটা খুব পুষ্টিকর ফল। কলায় ফাইবার বেশি এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। দিনের শুরুতে কলা খেলে সারাদিনের কাজের জন্য অনেকটা শক্তি মিলবে।
স্মুদি: সকালে কাজের ব্যস্ততা বেশি থাকে তাই সহজ খাবার হিসেবে স্মুদি তৈরি করতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টির যোগান দিতে এই খাবারটা দারুণ উপকারী। অনেকে স্মুদিতে চিনি দেন, তবে চেষ্টা করবেন চিনি ছাড়া স্মুদি খেতে।শাকসবজি এবং কম ক্যালোরিযুক্ত ফল দিয়ে স্মুদি তৈরি করতে পারেন। এটা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখবে।
চিয়া সিডস: চিয়া বীজ প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে এবং পেট পরিপূর্ণ করে তোলে। ফলে সকালের নাস্তায় চিয়া সিড খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেটে থাকবে। এতে একটু পর আবার খেতে ইচ্ছে করার প্রবণতা কমবে ও ক্যালোরি কম খাওয়া হবে।
ওটস: সকালে ওটস খেতে পারেন। ওটস দিয়ে খিচুড়ি হতে পারে, আবার ওটসের সঙ্গে ফলও মেশাতে পারেন। ওটসে আমিষ আর আঁশ দুটোই পাবেন।
বাদাম: সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে বাদাম খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা। বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলো থেকে দূরে থাকা যায়। এ ছাড়াও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে।
কফি বা গ্রিন টি: সকালের নাশতায় কফি কিংবা গ্রিন টি রাখতে পারেন। সতেজ বোধ করবেন। আবার বিপাক ক্রিয়া বাড়ায় ওজন কমানোও সহজ হবে। তবে অবশ্যই চিনি বাদ দিতে হবে।