২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



রোকেয়া হলের মেয়েদের মুখে ‘রাজাকার’ স্লোগান শুনে দুঃখ লাগে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১৫ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৩৭ এএম
রোকেয়া হলের মেয়েদের মুখে ‘রাজাকার’ স্লোগান শুনে দুঃখ লাগে: প্রধানমন্ত্রী


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের মুখে রাজাকার স্লোগান শুনে দুঃখ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুঃখ লাগে যে, রোকেয়া হলের মেয়েরাও ‘রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন। তারা কি ১৯৭১ সালে এই হলের ইতিহাস জানেন?’ সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই দুঃখ প্রকাশ করেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য। রোকেয়ার হলের  শিক্ষার্থীরা কি জানেন, কী পাশবিক নির্যাতন পাকিস্তানি হানাদাররা রোকেয়া হলেই করেছিল? রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতো সে সময়। এসব শিক্ষার্থীরা সেসব দেখেননি। কী শিক্ষা তারা নিলেন? আসলে এসব জানেন না বলেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পাচ্ছেন না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন গড়তে চাই, তেমনি কর্মকর্তাদের এ দিকটাও দেখতে হবে।  যেখানে অনিয়ম হবে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না সরকার। যে যেখানে যাই করুক না কেন, দুর্নীতির দায় চাপানো হয় সরকারের ওপর। তবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান মানে প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয়ে নিচের দিকেও যেন দুর্নীতি-অনিয়ম না হয়, সেটি কর্মকর্তাদের নজরদারিতে রাখতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এটি সরকারি কাজে গতিশীলতার পাশাপাশি আস্থা তৈরি হয় মানুষের মাঝে। পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় কী লিখলো, তা দেখে কাজ করবেন না, ঘাবড়ে যাবেন না। বিবেক ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যাবেন। তবে খোঁজ নেবেন অভিযোগটি সত্য কি-না।’




আরো পড়ুন