২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

যে ৭টি আচরণে স্বার্থপর ব্যক্তি চিনবেন

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৬ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
যে ৭টি আচরণে  স্বার্থপর ব্যক্তি চিনবেন


পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের বাস। এদের একেক জনের থেকে একেক জন আলাদা। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরণের মানুষের সঙ্গে আমাদের চলতে হয়। কিছু ব্যক্তির ব্যবহার আচরণ আমাদের মুগ্ধ করে আর কিছু মানুষের স্বভাবের কারণেই এড়িয়ে যাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বার্থপর মানুষ থেকে সাবধানে থাকতে বলেন অনেকে। কারণ, এরা নিজের চিন্তা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না। নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে এরা সব কাজ করতে পারে। কয়েকটি আচরণ থেকে চিনতে পারবেন স্বার্থপর ব্যক্তিকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন স্বার্থপর ব্যক্তির ৭টি আরচণের কথা বলা হয়েছে। 

সব সময় নিজের কথা ভাবা : স্বার্থপর ব্যক্তিরা সবসময় নিজেকে বেশি প্রাধান্য দেন। এ ধরনের ব্যক্তি সব অবস্থায় নিজের ইচ্ছা, চাহিদা, প্রয়োজনকে আগে প্রাধান্য দেন। নিজের ইচ্ছার বাইরে কোনোকিছু করতে চান না। 

সহমর্মিতার অভাব : স্বার্থপর মানুষ অন্যের অনুভূতিগুলো বিবেচনা করেন না। কারও অসুবিধা, দুঃখ-কষ্ট, পারিবারিক সমস্যা দেখার সময় যেন তাদের হাতে নেই। তারা মানুষকে ভেতর থেকে ভালোবাসেন না। কেবল সামনাসামনি ভালোবাসার অভিনয় করেন। 

ভাগাভাগি থেকে দূরে থাকেন : স্বার্থপর ব্যক্তিরা নিজের কোনো কিছু অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান না। খাবার, পোশাক কিংবা অন্য কোনো সামগ্রী শেয়ার করেন না। তারা নিজের কিছু শেয়ার করতে পছন্দ করে না। 

অন্যের সফলতায় দুঃখ পান : স্বার্থপর মানুষ নিজেকে নিয়ে এতটা ব্যস্ত থাকেন, অন্যকে তিনি মূল্যায়ন করতে চান না। অন্যের সফলতা, অর্জনকে একবাক্যে ছোট করে দেন। সফল ব্যক্তিকে হেয় করতে দ্বিধা করেন না। তারা সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান।

ছাড় দিতে জানেন না : জীবনে চলার পথের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হয়। মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়ে পথ চলতে হয়। স্বার্থপর ব্যক্তিরা ছাড় দিতে চান না। তারা ছাড় দেয়াকে হেরে যাওয়া মনে করেন। অথচ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মেরুদণ্ড হলো ছাড় দেয়া।

নিজেকে সবসময় বঞ্চিত ভাবেন : আশপাশে এমন কিছু লোক দেখবেন যারা  সবসময় নিজেকে প্রতারিত ও বঞ্চিত ভাবেন। জীবনে যা কিছু হয়, সবকিছু তারা অধিকাংশ সময় মানতে পারেন না। দায়িত্ব এড়াতে এবং অন্যের কাঁধে দোষ চাপাতে তারা ব্যস্ত থাকেন।

সম্পর্কের সীমানা অতিক্রম করেন : যেকোনো সম্পর্কে আবেগীয় সীমানা থাকা দরকার। কী করা যাবে, কতটুকু করা যাবে তার মাত্রা থাকা উচিত। আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর মানুষ সেসব মাত্রা ছাড়িয়ে যান। নিজস্ব ভাবনার বাইরেও ভাবতে পারেন না।



আরো পড়ুন