দিনাজপুরের হিলির যুবসমাজ লেখাপাড়া পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। প্রতিদিন সকালে হাই স্কুল মাঠে ক্রিকেট, বিকালে কলেজ মাঠে ফুটবল ও সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ক্লাবের সামনে ব্যাডমিন্টন খেলায় মত্ত হয়ে উঠছেন। যুবকরা জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা সুবিধামতো সময়ে শরীর ও মনকে ভালো রাখতে খেলাধুলা করে থাকেন। স্থানীয় ক্রীড়াবিদরা বলছেন, হিলি একটি মাদক অধ্যুষিত এলাকা। তাই যুব সমাজ লেখাধুলায় ব্যস্ত থাকলে মাকদের হাত থেকে তারা রক্ষা পাবেন। তবে এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মো, রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ক্লাবের সামনে ব্যাডমিন্টন খেলি। বাজে আড্ডা দেই না। ৪ জন করে ভাগ করে রাত ৯টা ঘণ্টাখানেক খেলাধুলা করি। এতে শরীর ও মন ভালো থাকে।’
হাই স্কুল মাঠের ক্রিকেট খেলোয়াড় মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট খেলার টিম আছে। প্রতিদিন ভোর ৬টার মধ্যে ব্যাট, বল, স্ট্যাম্প নিয়ে মাঠে হাজির হই। আমরা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলি। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে খেলা শেষ করে যার যার বাড়ি ফিরি। পরে ফ্রেশ হয়ে যে যার বিদ্যালয়ে চলে যাই। ভোরে খেলার মজাটাই আলাদা। কোলাহল মুক্ত পরিবেশে খেলতে বেশ ভালো লাগে। লেখাধুলার মাধ্যমে শরীর চর্চাও হয়।’
হাকিমপুর কলেজ মাঠের ফুটবল খেলোয়াড় মো. রাফি বলেন, ‘কলেজ ছুটির পর বাড়ি যাই। পরে ফ্রেশ হয়ে জার্সি পরে ফুটবল নিয়ে মাঠে হাজির হই। প্র্যাকটিস করি। এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে গেছে। খেলাধুলা না করলে বিকালে ভালো লাগে না। এতে মাদক থেকে দূরে থাকা যায়।’
হিলির সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘মন ও শরীরকে সুস্থ রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। সেটা হতে পারে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন বা অন্যকিছু। তবে যুবসমাজ শুধু খেলাধুলায় বুঁদ হয়ে থাকলে হবে না। পাশাপাশি তাদের লেখাপাড়াও চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন সরকারি পৃষ্টপোষকতা। তাহলেই তারা সবদিকেই ভালো করতে পারবে।’
হাকিমপুর পৌর সভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ‘আমি নিজেই একজন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলাম। অনেক আগে থেকে খেলাধুলায় হিলির খ্যাতি রয়েছে। আমরা সেই খ্যাতিটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমি প্রায় মেয়রকাপ নামে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করি।’
হাকিমপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মো. কাহের মন্ডল ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনসহ ক্রীড়া সংস্থা হিলির যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া সামগ্রী সরবরাহসহ সব ধরনের সহায়তা করে আসছে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন নামে ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় যুব খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ