২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



যে-কারণে ঝাল বাড়লো কাঁচামরিচের

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০৮ জুন, ২০২৪, ১১:০৬ এএম
যে-কারণে ঝাল বাড়লো কাঁচামরিচের


ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পরও দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমছে না। ফের প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে  (১ জুন) প্রতিকেজি দেশি কাঁচামরিচ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর  ৮ জুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। তবে ভারতীয় কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। 

ক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির শুরুর পর দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আবারও কেন যেন দাম বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আর ভারতীয় কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় কাঁচামরিচের মান খুব একটা ভালো নয়। তাই কেজিতে ২০ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। 

শনিবার (৮ জুন) হিলি বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যখন দেখলো ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। তখন দেশি কাঁচামরিচও ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে। এখন দেখছে, ভারতীয় কাঁচামরিচের মান একটু খারাপ। ক্রেতারা কিনবেন না। তাই তারা এই সুযোগে দেশি ১৬০ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেছেন। সরবরাহ কমে যাওয়া এটা তাদের একটা অজুহাত।’

আরেক ক্রেতা মো. তোয়ায়েল আহম্মেদ বলেন, ‘সাড়ে ৫ মাস পর ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। তখন দেশি কাঁচামরিচ কিনেছি ১২০ টাকা কেজি দরে। আর ভারতীয় কাঁচামরিচ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। এখন ভারতীয় কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি আর দেশি কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।’

তোফায়েল আহম্মেদ আরও বলেন, ‘এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া অন্যকিছু না। তাদের বেশি লাভের আশায় কাঁচামরিচ মজুদ করে রাখেন। আর সুযোগ পেলেই বেশি দামে বিক্রি শুরু করেন। আমরা ক্রেতারাও বেশি দাম কিনতে বাধ্য হই।’ 

কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ভারত থেকে যেসব কাঁচামরিচ আসছে। সেগুলোর মান খুব একটা ভালো না। আমরা মানভেদে পাইকারি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সব ক্রেতা ভারতীয় কাঁচামরিচ কিনতে যাচ্ছেন না।’

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘বাজারে দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ আগের চেয়ে কমে গেছে। একসপ্তাহ আগে ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করি। আর এখন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো. ইউসুফ আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে সাড়ে ৬ মাস কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। হিলিবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৮ জন আমদানিকারক ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।’

ইউসুফ আলী আরও বলেন, ‘অনুমতি পাওয়ার পর গেলো ২৩ মে থেকে হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়।’ 

/ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন