২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার



সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৬ জুন, ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ


আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। জিডিপির অনুপাতে এটি গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বাজেট। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। 

বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, অর্থের সংস্থান কম থাকায় বাজেট ছোট রাখার পরামর্শ দিয়েছিল  আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ)।

সংশোধিত আকারকে ভিত্তি ধরলে আগামী বাজেটের আকার বাড়ছে ৮২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাড়ানো হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।

আগামী বাজেটে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় আসবে বলে সরকার ধরে নিয়েছে। এ আয়ের মধ্যে ৪ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে কর। করের মধ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত অংশ ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআরবহির্ভূত অংশ ১৫ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া করবহির্ভূত প্রাপ্তি চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার কোটি থেকে কমিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য ৪৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আর অনুদান পাওয়া যাবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের  বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হচ্ছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এই অঙ্ক চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা কম। অবশ্য  সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৭৬ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা থেকে ১৪ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বেশি।

এছাড়া আগামী অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল অভ্যন্তরীণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা বেশি। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, আর সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

এদিকে আগামী অর্থবছরের জন্য আয় হিসাব করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কম। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়ের মধ্যে পরিচালন অংশ ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন অংশ ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন অংশের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে এটি মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বেশি ।



আরো পড়ুন