২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



রেমাল: ৮ লক্ষাধিক মানুষ সুপেয় পানির তীব্র সংকটে

জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট || ০৩ জুন, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
রেমাল: ৮ লক্ষাধিক মানুষ সুপেয় পানির তীব্র সংকটে


সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও মোংলা উপজেলা। এই ৪টি উপজেলার বেশির ভাগই নদ-নদী পরিবেষ্টিত হওয়ায় যেদিকেই তাকান, সেদিকেই অথৈ পানি। তবে, সে পানি খাবার বা রান্নার উপযোগী নয়। তারপরও ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের জলোচ্ছ্বাস। যে টুকু মিষ্টি পানির জলধারা ছিল তাও রেমালের জলোচ্ছ্বাসে মিলেমিশে একাকার হয়েগেছে।  

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, আগে থেকেই বাগেরহাটের এই ৪টি উপজেলার ভূগর্ভস্থ পানি তিব্র লবণাক্ত হওয়ায় গভীর ও অগভীর নলকূপের পানিও খাবার উপযোগী নয়। পানিতে লবণাক্ততার সহনীয় মাত্রা ১০০০ হাজার পিপিটি হয়েও বাগেরহাটের এই ৪টি উপজেলার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ এখন ৪ হাজার পিপিটি। শুষ্ক মৌসুমে লবণাক্ততার পরিমাণ আরও অনেক বেড়ে যায়। তাই এই ৪ উপজেলার বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৮ লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুরের পানি বিশুদ্ধ করার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পিএসএফ ও টিউবওয়েলগুলো। ফলে জেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও মোংলা উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে নদী তীরবর্তী এলাকার অনেকে বাধ্য হয়ে লবণ পানি পান করছেন।

এদিকে, লবণ পানি পান ও ব্যবহার করায় চর্মরোগ ও পেটের পীড়া দেখা দিয়েছে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। কেউ কেউ জীবন বাঁচাতে দূর-দূরান্ত থেকে পানি কিনে আনছেন। ঝড়ের তাণ্ডব শেষ হওয়ার পর জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার পাওয়া গেলেও, সুপেয় পানির কোনো সরবরাহ ছিল না দুর্গত এলাকায়। যার কারণে সরকারিভাবে নদী তীরবর্তী এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ‘মোরেলগঞ্জ, শরণেখোলা ও মোংলা উপজেলায় তিনটি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে দুর্গত মানুষদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১২ হাজার লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটি চলবে।’ 

/ঢাকা বিজনেস/এনই 



আরো পড়ুন